সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে সরিষা ক্ষেতে মধুর খামার গড়ে তুলেছেন এক মৌয়ালা।এক দিকে সরিষা চাষ,অপরদিকে বাড়তি লাভ মধু উৎপাদন।
সরেজমিন দেখা গেছে, মধ্যনগর উপজেলার বিভিন্ন ফসলি জমিতে এবছর সরিষার আবাদ করা হয়েছে। এসব জমিতে সরিষার ফুল ফুটেছে আরো সপ্তাহ তিনেক আগেই। এসব ফুলের মধু আহরণ করতে উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের চান্দালীপাড়া গ্রামে ১৩০ টি মধুর বাক্স বসিয়েছেন এক পেশাদার মৌয়ালা। মৌয়ালার বাক্স থেকে দলে দলে উড়ে যাচ্ছে পোষা মৌমাছি। ঘুরে বেড়াচ্ছে ফুলে-ফুলে,আর সংগ্রহ করছে মধু। মুখভর্তি মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা ফিরে আসছে বাক্সে রাখা মৌচাকে। সেখানে সংগৃহীত মধু জমা করে আবার ফিরে যাচ্ছে সরিষা ক্ষেতে। এভাবে দিনব্যাপী মৌমাছিরা মধু সংগ্রহ করছে। মৌমাছিরা ফুলে-ফুলে ঘুরে মধু সংগ্রহ করতে গিয়ে পুরো জমির পরাগায়নেও সহায়তা করে।পরগায়নের ফলে ফসলের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ফলন বৃদ্ধি পায়।
উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের চান্দালীপাড়া গ্রামে আসা নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার পেশাদার মৌয়ালা শাহালম জানান,তিনি চান্দালীপাড়া গ্রামে সরিষা জমির পার্শ্ববর্তী খোলা জায়গায় ১৩০ টি বাক্স বসিয়েছেন।এসব বাক্স থেকে ১৯ দিনে ৯ মণ মধু সংগ্রহ করেছেন তিনি।কিছুদিন আগে বৃষ্টি হওয়া এবং কৃষকরা মৌমাছি টেকাতে জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করায় কাঙ্ক্ষিত মধু সংগ্রহ করতে পারেননি তিনি।কৃষকদেরকে মধু আহরণের ব্যপারে সচেতন করা হলে এই এলাকা থেকে আরও অধিক পরিমাণ মধু আহরণ করা যাবে বলেও জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কমর্কতা মো. মীর হাসান আল বান্না বলেন, চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় ৪৯৭ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। সরিষা চাষীদের মনে মৌমাছি দিয়ে মধু সংগ্রহের ব্যপারে ভ্রান্ত ধারণা ছিল।তারা মনে করত মৌমাছি সরিষা জমির ক্ষতি করে।আমরা এ ব্যপারে সরিষা চাষিদের সচেতন করেছি।মধু আহরণের জন্য কৃষকদের বিভিন্নভাবে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছি।
Devoloped By WOOHOSTBD