সেলিম রেজা বাচ্চুঃ মাধ্যমিক পাস করে চরম বিপাকে পড়ছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ। সুযোগ-সুবিধার অভাবে ঝরে পড়ছেন অনেকে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে কোন কলেজ নেই। প্রমত্তা পদ্মা বেষ্টিত দৌলতপুরের এই ২ ইউনিয়ন মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন।
জানাগেছে,চিলমারী ইউনিয়নে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩ টি,দাখিল মাদ্রাসা ১ টি। ২ ইউনিয়নে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা ১০ সহস্রাধীক। ২০২৩ সালে খাজিরাথাক মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৬৩ জন,জোতাশাহী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭৪ জন,চিলমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৪৯ জন জন এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে পাশের হার সন্তোষজনক।
মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য কুষ্টিয়া অথবা রাজশাহী যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে বাড়ছে শিক্ষার ব্যয়। চরম বিপাকে পড়ছেন নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানরা। পার্শ্ববর্তী প্রাগপুর ইউনিয়নের মহিষকুন্ডি,মথুরাপুর কলেজে ভর্তি হলেও স্থানীয় এসব কলেজে নেই আবাসন সুবিধা।
এ প্রসঙ্গে চিলমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও খাজিরাথাক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি সৈয়দ আহমেদ বলেন, রামকৃষ্ণপুরে ইউনিয়নের অর্ধেক ও চিলমারী ইউনিয়নের পুরো এলাকা জুড়ে বালুর চর। এখানে স্থায়ী রাস্তাঘাট নেই। দূর্গম পথ পাড়ি দিয়ে কোমলমতি শিশুরা বিদ্যালয়ে যায়। একটি কলেজ থাকলে ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যাপক উপকৃত হতো।
রাসেল নামে একজন কলেজ পড়ুয়া জানান, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিএ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ না পেয়ে মাধ্যমিকের পর পড়াশোনার আগ্রহী হারিয়ে ফেলছেন অনেকে। বিশেষ করে মেয়েরা পিছিয়ে পড়ছে। ফলে বাড়ছে বাল্যবিবাহ।
চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্রে একটি কলেজ স্থাপন করা অতীব জরুরি বলে মনে স্থানীয় জনসাধারণ।
Devoloped By WOOHOSTBD