ভেড়ামারা প্রতিনিধি – কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার আব্দুল ওয়াহাব কাজি ওরফে ওয়াহাব মাস্টার এর নকল তালাকনামা ও জাল জালিয়াতি দুর্নীতি নিয়ে বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেছেন শাহীনুর রহমান শাহীন। লিখিত অভিযোগ নিম্নরুপ – আমি মোঃ শাহিনুর রহমান শাহীন (৪০), পিতা মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সাং-সীড়া ঝাউদিয়া, উপজেলা- ঈশ্বরনী, জেলা-পাবনা। লিখিত ভাবে অভিযোগ করিতেছি যে, আপনার অধিনস্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজী মোঃ আব্দুল ওয়াহাব (৬০) পিতা- অজ্ঞাত, সাং-নওদাপাড়া(ভেড়ামারা পৌরসভা কার্যালয়ের পিছনে), উপজেলা- ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়া। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ আইন-শৃঙ্খলার চোখে ফাঁকি দিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ব্যাক ডেটের জাল তালাক নামা প্রদান করে আছে। যাহার ভুক্তভোগী আমি নিজেই। আমার পিতা মোঃ সিরাজুল ইসলাম, সাং-সাঁড়া ঝাউদিয়া, উপজেলা- ঈশ্বরদী, জেলা-পাবনা। তিনি আমার ছোট মায়ের ভাইদের সহায়তায় কাজি আব্দুল ওয়াহাবের নিকট থেকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে জাল তালাক নাম গ্রহণ করেন অনুমানিক ৩ মাস পূর্বে। ১৬ বছরের পূর্বের তারিখ দেখাইয়া জাল তালাক নামা তৈরি করেছেন এই কাজী। বর্তমানে আমার বাবা তা পাবনা কোর্টে গত ১৩/০৯/২০২৩ ইং তারিখে কোর্টে জমা দেন। প্রকৃত পক্ষে আমার বাবা ছোট বৌ ও সং দুই ছেলে, মেয়ে, মেয়ের জামাই সবার পরামর্শে সমস্ত সম্পত্তি তার দুই ছেলে ও মেয়ের নামে লিখে দিয়ে আমাকে ও আমার মাকে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করে বাড়ী থেকে তাড়াইয়া দেই। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউ,পি চেয়ারম্যান মহোদয় সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হইয়া আমাদের কে পাবনা আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করার পরামর্শ দেন। সেই পরামর্শ মোতাবেক আমার মা পাবনা আদালতে মোকাদ্দমা দায়ের করেন। এখানে উল্লেখ্য যে আমার ছোট মার বাড়ি ভোড়ামারা থানার চরদামুদিয়ার গ্রামে। আমার ছোট মায়ের দুই ভাই স্বাক্ষী হয়ে কাজী সাহেবের মাধ্যমে জাল তালাক নামা নিয়ে আমার পিতাকে প্রদান করে। যাহা আমার পিতা পাবনা আদালতে জমা প্রদান করে ।
আমি বিষটি কাজী সাহেবের নিকট জানতে চাইলে সে আমার সাথে খারাপ আচরণ করে আমাকে সেখান থেকে তাড়াইয়া দেয়। পরবর্তীতে আমি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় গোপন রাখিয়া উক্ত কাজীর নিকট ১২/১৩ বছর পূর্বের একটি জাল তালাক নামা নিতে চাহিলে প্রথমে বিভিন্ন সমস্যার কথা বলেন, পরবর্তীতে মোটা অংকের অর্থ প্রদান করতে চাইলে তিনি জাল তালাক নামা প্রদান করতে রাজি হয়। তিনি একথাও বলেন যে প্রয়োজন বোধে পাবনা কোর্টে গিয়েও স্বাক্ষী দিবেন এবং লেজার বই, ভলিয়ম বই কোর্টে দেখাবেন। তিনি দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে এই জাল তালাক নামা প্রদান করিয়া আসিতেছেন। প্রয়োজন বোধে অনেকবার কোর্টে জাল তালাক নামা স্বাক্ষী দিয়েছেন অত্যন্ত দক্ষতার সহিত। এমনকি পোষ্ট অফিসের ব্যাকডেটের সিলমহর রশিদ প্রদান করেন। যাহা অডিও ও ভিডিও আকারে প্রমান দাখিল করা হইলো।
উপরোক্ত বিষয়টি অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
অডিও এবং ভিডিও দেখতে চোখ রাখুন,,,
Devoloped By WOOHOSTBD