আছানুল হক কুষ্টিয়া দৌলতপুর
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার বি সি কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বানিজ্য ও অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত শিরোনাম সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বি সি কে বাজারে আওয়ামীলীগ পাটি অফিসে বি সি কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আফাজ উদ্দিন মাস্টারের সভাপতিত্বে বিদ্যালয় পরিচালনায় নিয়মিত ম্যানিজিং কমিটির ৪ জন সদস্য ও এলাকাবাসী উপস্থিততে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আফাজ উদ্দিন বলেন, বি ,সি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ, নিয়োগ বাণিজ্য,সভাপতি অবৈধ্য, নিয়োগ কমিটি গঠনে
অনিয়ম। এ সমস্ত অভিযোগ সমূহ ভিক্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রনিত ও মান হানীকর এবং প্রতিস্থানের জন্য হুমকি সরূপ। বি,সি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ২৫ বছর পরে নিয়োমত্রান্তিক ভাবে এবং বিধী মোতাবেক নির্বাচন হয়েছেন। যাহা যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তিক অনুমোদিত। তৌহিদুল ইসলাম ব্যাপারী অভিযোগ করেন যে, নিয়োগ
কার্যক্রম গোপনে এবং তড়িঘড়ি করে সভাপতি নিয়োগ প্রক্রিয়া গোপনে করেছেন। এটা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন ।নিয়োগ প্রক্রিয়া বিধী মোতাবেক কার্য নির্বাহি কমিটির আলোচনা সাপেক্ষে এবং রেজুলেশন মোতাবেক প্রক্রিয়াধীন। মামলা মোকাদ্দমা থাকলে নিয়োগ দেওয়া যাবে কিনা তাহা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা জরিত তিনারাই ভালো জানেন। জনাব কাওসার আলী বিশ্বাস অভিযোগ করেন যে তিনার ছেলেকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ৫,০০,০০০/=(পাঁচ লক্ষ)টাকা সভাপতি মহদ্বয় দাবি করেন। এই অভিযোগটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ভিত্তিহীন এবং
মানহানি কর। কারন তাহার বা তাহার কোনো লোকের সঙ্গে সভাপতির কোনো কথা হয়নি। সভাপতি আফাজ উদ্দিন মাষ্টার বি,সি,কে এলাকার একজন শিক্ষা অনুরাগী, সমাজ সেবক, সৎ এবং নির্ভীক ব্যাক্তি। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ দৌলতপুর উপজেলা শাখার শ্রম বিষয়ক সম্পাদক। তাহার মান মর্যাদা ক্ষুন্ন করার উদ্দেশ্যেই অত্র একালার কিছু মাদক ব্যবসায়ী ও দুশকৃতিকারী তাহার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন।
তৌহিদুল ইসলাম ব্যাপারি অভিযোগ করেন যে, টাকা দিয়ে ভোট কিনে আফাজ মাস্টার সভাপতি হয়েছেন। এটাও একটি ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রনদিত অভিযোগ। টাকা দিয়ে এবং পেশী শক্তি ব্যবহার করে ২০১১ সালে সভাপতি
হয়েছিলেন তৌহিদুল ব্যাপারি। সেই সময় সভাপতি থাকা কালীন ২জন শিক্ষক এবং একজন অফিস সহকারী নিয়োগ দেন। ২০১১ সালে তাহার আপন ভাগ্নে জামাই মোয়াজ্জেম হোসেন যার কাছ থেকে ৩,৫০,০০০/= নগদ
অর্থ গ্রহন করেন। জনাব আশরাফুল ইসলাম ৫,০০,০০০/= লক্ষ টাকা। অফিস সহকারী মজিবর রহমান৩,৫০,০০০/= টাকা এই মোট ১২,০০,০০০/= টাকা নিয়োগ বাণিজ্য করেন। এই টাকা দিয়ে তৌহিদুল ব্যাপারি ৩বিঘা জমি ক্রয় করেন এবং গরুর খামার তৈরি করেন। নিয়োগ বাণিজ্য বলতে আমার মনে হয় ইসলাম এবং কাওসার বিশ্বাস এটাকেই বুঝিয়েছেন। বর্তমান সভাপতি আফাজ উদ্দিন মাস্টার বি,সি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন ছাত্র । আজিবর রহমানের হাত ধরে এই প্রতিষ্ঠানের বাঁশ টানা থেকে শুরু করে ক্লাস নিয়া পর্যন্ত সমস্ত ভালো কাজের সাথে জরিত ছিলেন এবং আছেন। ১৯৯০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত তিনি রাত্রিতে স্কুলে থেকে স্কুলের যাবতীয় সামগ্রী পাহারা দিয়েছেন। ১৯৯০ সালে বি,সি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিরোধী পক্ষ সৃষ্টি হয়। গত ১০/০১/২০২৩ ইং তারিখে যাহারা সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাহারা সেই ১৯৯০ সালের বিরোধী পক্ষ।
সঠিক তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আর উপস্থিত ছিলেন বি,সি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শোভাকাঙ্খি, স্থানীয় গন্যমান ব্যাক্তিবর্গ, দৌলতপুর কর্মরত ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়া ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বিন্দ।
Devoloped By WOOHOSTBD