আবু নাইম শাহ, স্টাফ রিপোটার
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটনকে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের চিঠি জাল করার অভিযোগে বহিষ্কার করেছে গোপালগঞ্জ জেলা শাখার ছাত্রলীগ।
সোমবার (৮ মে) গোপালগঞ্জ জেলা শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা’র স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটনকে কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
উল্লেখ্য, কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ রাজৈর-কোটালীপাড়া সড়কের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ করার লক্ষে সড়কের দুই পাশের গাছ টেন্ডারের মাধ্যমে কর্তনের জন্য গত ১০ এপ্রিল সামাজিক বন বিভাগের ফরিদপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে একটি চিঠি দেয়। ওই চিঠিটি কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটন সুকৌশলে সংগ্রহ করে সামাজিক বন বিভাগের ফরিদপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নামের স্থলে জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জ বসিয়ে একটি জাল চিঠি তৈরী করে। চিঠিটি গোপালগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের হাতে পৌছানোর পরে তিনি ওই চিঠি সম্পর্কে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদের কাছে মৌখিক ভাবে জানতে চায়।কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌস ওয়াহিদ ওই চিঠিটি জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জ এর কাছে পাঠাননি বলে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকে জানান।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান মুন বলেন, সংগঠন কারো ব্যক্তিগত সংগঠন না,
কেউ কোনো অপরাধ করলে সংগঠন দায় নিবে না, ছোটন কে জেলা থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলো, তিন দিনের ভিতরে সঠিকভাবে কারণ দর্শানো না পারায় তাকে বহিষ্কার করা হয়।।
কোটালীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলা ছাত্রলীগ যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুনেছি এবং আমরা জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশনায় কাজ করি, কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিম আহম্মেদ ছোটনকে বহিষ্কার করেছে এটা সত্য।
এ ব্যাপারে চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটন বলেন- আমি জেলা ছাত্রলীগের কাছে তিনদিনের সময় চেয়ে ছিলাম আমাকে সময়ও দিয়েছে, কিন্তু এখন কেনো বহিষ্কার করা হয়েছে আমি জানিনা।
Devoloped By WOOHOSTBD