দেশের গন্ডি পেরিয়ে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে।
যথাযোগ্য মর্যাদায় কুয়েতে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিবসটি উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে মান্যবর রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন। দূতাবাসে নির্মিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ৫২ এর ভাষা আন্দোলনে নিহত সকল শহীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রদূত । পরে দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারী সহ সর্বস্তরের প্রবাসীরা একে একে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
দূতাবাসের মাল্টিপারপাস হলে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় এক আলোচনা সভা। রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোঃ আশিকুজ্জামান’ এর সভাপতিত্বে ও জাহাঙ্গীর আলম এর সঞ্চালনায় বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রীর
বাণী সমূহ পাঠ করেন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এসময় দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোঃ আশিকুজ্জামান। তিনি বলেন ১৯৯৯ সালে দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেস্কো। এর পর থেকে পৃথিবীর সব দেশ এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ।
তিনি বলেন আমরা গর্বিত জাতি রক্তের বিনিময়ে মাতৃভাষা ফিরে এনেছি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছি আমরা রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তাই বিদেশে নিজ দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়। সে সব কর্ম থেকে বিরত থাকতে সকল প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। আলোচনা সভায় কুয়েত প্রবাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের শীর্ষ স্হানীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
শেষে ভাষা আন্দোলনে শহীদ সহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
Devoloped By WOOHOSTBD