ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা – কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় কিশোর গ্যাং, নারী চক্র এবং ফিটিংস পার্টি আবারও সক্রিয়! নারী চক্র দিয়ে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায়ের অভিযোগ। প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী
ভেড়ামারায় কিশোর গ্যাং, নারী চক্র, ফিটিংস পার্টি আবারও সক্রিয়। দিন দিন এদের অপরাধ এর মাত্রা বেড়েই চলেছে। সচেতন মহল এর দাবী এই গ্যাং গুলো কে দমন করতে না পারলে অপরাধ প্রবণতা আরো বেড়ে যাবে। এই কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধির ফলে কত মায়ের যে চোখের জল ফেলতে হচ্ছে, কতজনকে রক্তাত্ব হয়ে হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তে হয়েছে তা ভুক্তভোগীরাই জানেন। অপরদিকে এই ছেলেদের জন্য তাদের পিতামাতা কে সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে, আর্থিক মানসিকভাবেও চরম ক্ষতিগ্রস্ত। এদের কে রুখতে অবিভাবকের মূখ্য ভূমিকা পালন করতে হবে, জনপ্রতিনিধিদের এবং সেই সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
ভেড়ামারায় ফিটিংস পার্টি নিয়ে সিরিজ নিউজ করায় করায় এক কসমেটিক এর মেডাম তার দোকানের সাইনবোর্ড খুলে ফেলেছেন,,,, এবং বিষয়টি নিরসনের জন্য বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। ভেড়ামারার ফিটিংস পার্টির উপর প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের নজরদারি বৃদ্ধি। সক্রিয় নারী চক্র (ফিটিংস পার্টি) এর বিরুদ্ধে ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাব সোচ্চার। ভেড়ামারার নারী চক্র ফিটিংস পার্টির খতিয়ান এবং তাদের সহযোগীদের নির্মূল করতে ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা ভেড়ামারা থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম মহোদয় এর সাথে মতবিনিময় করলে তিনি বলেন, এইসব চক্র নজরদারিতে আছে। এলাকার শান্তি বজায় রাখতে কিশোর গ্যাং,নারী চক্র, ফিটিংস পার্টি কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। উপযুক্ত প্রমাণ পেলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
ভেড়ামারায় কিশোর গ্যাং, নারী চক্র, ফিটিংস পার্টি সক্রিয় ! মাদক ইভটিজিং সহ নানা অপকর্মে জড়িত কিশোর গ্যাং। নারী চক্র দিয়ে ফাঁদে ফেলে অর্থ আদায় করায় তাদের কাজ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ভীতি সৃষ্টি হয়েছে। ফিটিংস পার্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে ভেড়ামারা মিরপুর এলাকাবাসী তদন্ত সাপেক্ষে পুলিশ প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে ফিটিংস পার্টির অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ জনতা। তারা স্হানীয়/ দলীয় ক্যাডার, ক্ষমতাধর এবং স্হানীয় জনপ্রতিনিধি হওয়ায় মানুষ মুখ খুলতে ভয় পান। এদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষের বাড়িতে মেহমান ও নিরাপদ নয়, নেই গৃহ শিক্ষক। পূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফ মহোদয় তাদের হাত থেকে রক্ষায় সন্ধ্যা পর পড়াতে যেতে মানা করেছিলেন।
শুধু তাই নয় তাদের গ্রুপে সুন্দরী নারী চক্র থাকায় তারা কৌশলে সুন্দরী মেয়েদের পাতা ফাঁদে অনেক কে ঘায়েল করে অর্থ বাণিজ্য করে চলেছেন। জনশ্রুতি আছে তাদের চক্র দেহ ব্যবসা ও করে চলেছেন। এই নারী চক্র নিয়ে
দীর্ঘদিন ধরে স্হানীয় পত্রিকায় নিউজে প্রকাশিত ব্যক্তিবর্গদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।
কুষ্টিয়া থেকে বিভিন্ন পত্রিকাতে মাঝে মাঝেই এ নিয়ে অনেক লেখা প্রকাশিত হলেও প্রশাসন এর নিরবতা জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে। এনিয়ে মামলাও হয়েছে কয়েকটি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, সে ঢাকা থেকে ভেড়ামারা তে আসলে ফিটিংস পার্টি তাকে ধরে চড়থাপ্পড় মেরে পুলিশে দেওয়ার হুমকি ধামকি দিয়ে তার কাছে থাকা টাকা এবং ৮০ হাজার টাকা দামের মোবাইল কেড়ে নিয়ে সাদা কাগজে সাক্ষর করে স্হানীয় তার এক বন্ধুর পিতার সহায়তায় মুক্তি পেয়ে প্রাণে বেঁচে ঘরে ফিরতে পেরেছিলেন।
পূর্বে এই চক্রের একটি গ্রুপ অর্থ বাণিজ্য করে ও সন্তুষ্ট হতে না পেরে গণধর্ষণের মত ঘটনাও ঘটিয়েছে। যা নিয়ে ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকগণ সোচ্চার হয়ে সিরিজ নিউজ করে চলেছিল। ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ মানসম্মানের ভয়ে মুখ খুলেনা। জনৈক প্রবাসীর ভেড়ামারাস্হ এক বাসায় গৃহশিক্ষক তার ৩য় শ্রেণিতে পড়া মেয়েকে সন্ধ্যা পর নিয়মিত পড়াতে যেত,,, হটাৎ করে সেই গৃহশিক্ষক কে আটকে প্রবাসীর স্ত্রী কে জড়িয়ে তারা তাদের বাণিজ্য করে এবং পরবর্তী তে মাসোহারা না দেওয়ায় তার স্বামী কে ঐ ঘটনার হৈচৈ এর ছবি ভিডিও পাঠালে স্বামী সেই বৌকে তালাকের ঘটনাও ঘটিয়েছে। এমন বহু ঘটনার সাক্ষী ভুক্তভোগী নিরব অসহায় নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষ।
ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকগন প্রাণের ভেড়ামারা কে দালাল মাদক চাঁদাবাজ এবং ফিটিংস পার্টি মুক্ত ভেড়ামারা করতে প্রতিবাদ এবং সোচ্চার হয়ে তাদের কলম চালিয়ে যাচ্ছে।
ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা বলেন, কতিপয় ২/৩ টা গ্রুপের নামে মামলা হলেও তারা জেলখানা থেকে বের হয়ে এসে আবার সক্রিয়।
ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা কুষ্টিয়া জেলার পুলিশ সুপার সহ ভেড়ামারা মিরপুর উপজেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহোদয় সহ অফিসার ইনচার্জদ্বয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এতে রক্ষা পাবে সাধারণ মানুষ, নিরাপদ থাকবে সব পরিবার। তিনি আরো বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় আমাকে বার বার তাদের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে যা নিয়ে একাধিক বার জিডিও করা আছে। আমরা কারো তাবেদারী করিনা, কোন ভয় আমাদের দেখিয়ে লাভ নেই, দালাল মাদক চাঁদাবাজ এবং ফিটিংস পার্টির সাথে আমাদের কোন আপোষ নেই। কিশোর গ্যাং, দালাল, চাঁদাবাজ, মাদক এবং ফিটিংস পার্টিসহ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কলম চলবে,,,। তাদের কে উৎখাত না করা পর্যন্ত আমাদের কলম চলবে তাদের বিরুদ্ধে। সুস্থ ধারার সাংবাদিকতা ফিরিয়ে আনতে আমরা বদ্ধ পরিকর।
ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা
সভাপতি
ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাব
০১৭১২২৭৬৭৫৩
Devoloped By WOOHOSTBD