বিগত ৪ বছর আগে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কান্দারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা এখলাছুর রহমান তালুকদার ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজ জমিতে ৩ শতাধিক গাছের চারা রোপণ করেছিলেন। কিন্তু গত (৩ (ফেব্রুয়ারি)শনিবার ভোরে এসব চারা কর্তন করা হয়।
তবে ঘটনায় রাতে এখলাছুর রহমান বাদী হয়ে গ্রামের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে জয়নাল, সামসুল, তখলিছ, মখলিছ ও আতিককে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এদিকে সরেজমিনে দেখা যায়, কান্দারগাঁও গ্রামে কামারখালী নদীর তীরে এখলাছুর রহমানের ফিসারির পাড়ে গাছের চারা সারিবদ্ধভাবে পড়ে রয়েছে। প্রতিটি চারা মধ্যস্থান থেকে কেটে ফেলা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত গ্রামের আলতাব আলী ও হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, কৃষিকাজের ফাঁকে তারা প্রায়সময় ভোরে স্থানীয় কামারখাল নদীতে মাছ ধরতে যান। এর ধারাবাহিকতায় গত শনিবার ভোর ৫টার দিকে ঘন কুযাশা ভেদ করে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় ফিসারির পাড়ে দা হাতে কয়েকজন লোক দেখতে পান। এ সময় তারা জয়নাল মিয়া ও তার ভাইদের চিহ্নিত করেন। বাকিদের তারা চিনতে পারেননি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ নৌকাযোগে ও কেউ কেউ মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যায় বলে তারা জানান। স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানান, কান্দারগাঁও গ্রামের মসজিদ, স্কুল ও কবরস্থান নিয়ে গ্রামের পঞ্চায়েত কমিটির সাথে জয়নাল মিয়ার বিরোধ চলছিল। গাছের মালিক এখলাছুর রহমান ওই পঞ্চায়েত কমিটির সাথে যুক্ত।
মামলার বাদী এখলাছুর রহমান তালুকদার বলেন, কান্দারগাঁও গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ ও কবরস্থান নিয়ে পূর্ব থেকেই গ্রামের পঞ্চায়েত কমিটির সাথে মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে জয়নাল, সামসুল, তখলিছ, মখলিছ ও আতিকের বিরোধ চলছিল। এই পঞ্চায়েত কমিটির সাথে তিনি সম্পৃক্ত। তাই আক্রোশবশত জয়নাল ও চার ভাই সঙ্গীদের নিয়ে এ ঘটনা ঘটায়। এতে তার ৩ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
অভিযুক্ত জয়নাল মিয়া বলেন, তিনি সম্পূর্ণ নিরপরাধ। তিনি ও তার ভাইয়েরা এ ঘটনার সাথে জড়িত নন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জগন্নাথপুর থানার এসআই মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ৫ ব্যক্তিকে আসামী করে এখলাছুর রহমান জগন্নাথপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।
Devoloped By WOOHOSTBD