ভেড়ামারা প্রতিনিধি –
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় ফোরলেন এর কাজ করার জন্য উচ্ছেদ কৃত ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের জায়গা পরিদর্শন কালে ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান মিঠু বলেন, আমরা আপনাদের কাছে এসেছি আমরা অত্যন্ত দুঃখিত যে, আমরা এই ভাঙ্গা ঠেকাতে পারি নাই। আমাদের সাথে পৌরসভা মেয়র সাহেবের কথা ছিল যেটা দরকার ৫ ফুট হোক, ১০ ফুট হোক, ১৫ ফুট হোক সেটাই ভাঙবে। পরবর্তীতে আমাদের কে দেয়া কথা বর খেলাপ করেন। তারা এই কথা বরখেলাপ এর জন্য আমাদের ব্যবসায়ীদের বড় ধরনের ক্ষতি করেছে। আমরা বুঝতে পারি নাই রেলওয়ে অফিসার নিয়ে এসে রেলওয়ে অফিসার দাঁড়িয়ে থেকে এই কাম করে গেছে। আপনারা দয়া করে যার যার জায়গায় যে ব্যবসায়ী ছিলেন আপনারা সেখানেই থাকবেন। এবং আপনারা যাদের কাগজ আছে তো ভালো। রেনু না থাকলে রেনু করে নেবেন। আর কাগজ যদি না থাকে রেলওয়ে থেকে কাগজ করে নিবেন। আর যদি প্রয়োজন মনে করেন আমরা রেলওয়ে অফিসার কে বলে দেব বা সভাপতি সাহেব আছেন উনি বলে দিবেন। সভাপতি সাহেবের মেজো ভাই জনাব রশিদুল আলম সাহেবের সাথে সভাপতি সাহেবের কথা হয়েছে দরকার হলে রেলওয়ে বড় অফিসার কে উনি বলে দিবেন। আপনারা যে ব্যবসায়িক আছেন ঠিক সেখানেই থাকবেন। আর আমরা আরেকটা জিনিস নিতে পারি নাই শুক্রবার, শনিবার হওয়াতে। আমরা রোডস এন্ড হাইওয়ের সঙ্গে কথা বলে যতটুকু তার জায়গা দরকার আমরা রবিবার জেনে এসে সোমবার অথবা মঙ্গলবার আপনারা যারা ব্যবসায়ী আছেন তাদেরকে জানিয়ে দেবো যে এতটুকু জায়গা আছে আর এতোটুকু জায়গার দরকার। সেই জায়গা টুকু সামনে রেখে আপনারা আপনাদের ঘর তৈরি করবেন।
তিনি আরোও বলেন, পুকুর ভরাট করা যাবে না। আর এক টুকরো মাটিও পুকুরের ভেতর ফেলবেন না।
জেলা পরিষদের সদস্য ও ভেড়ামারা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল বলেন, রাস্তা প্রশস্ত করুন করার জন্য যে পরিমাণ জায়গা লাগবে সে পরিমাণ জায়গা রেখে আপনারা আপনাদের জায়গা পাবেন। সে ক্ষেত্রে কাউকে কোন টাকা পয়সা দেওয়া লাগবে না। এই বিষয়ে আপনাদের থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি উনি অসুস্থ ঢাকায় আছেন উনি আমাদের বলেছেন মানুষের পাশে যাও মানুষদেরকে আশ্বস্ত করো যাতে আরও ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন না হয়।
এমনি মানুষ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। নতুন করে আবার দোকান নিয়ে বাণিজ্য কেউ না করতে পারে।
তিনি আরোও বলেন, এই বাজারে যদি আগুন লাগে তাহলে পানি নেওয়ার জায়গা হচ্ছে এই একটা। বাজারের কোথাও আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিস এখান থেকে পানি নিয়ে আগুন নেভাবে। আপনারা সেই পুকুরটা ভরাট করে ফেলছেন। জলাশয় ভরাট করা তো আইনগত নিষেধ।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের পাশে পরিদর্শন কালে আরো উপস্থিত ছিলেন, ভেড়ামারা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আকরাম হোসেন শামীম, ভেড়ামারা পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলহাজ্ব মাহবুবুল আলম বিশ্বাস, ভেড়ামারা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরাফাত রহমান বাঁধন, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান সোহাগ, আওয়ামী লীগ সমর্থক আলি হাসান সনি, সৈকত জোয়াদ্দার শালুক সহ আরো অনেকে।
Devoloped By WOOHOSTBD