কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলায় জাতীয় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা একাধিক এলাকায় বাড়িঘর ভাংচুর লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ হয়েছে।
সোমবার সকাল অনুমানিক ৯ টার দিকে
উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের জগোনাথ পুর গ্রামের ট্রাক ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ৩ জন আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন, মৃত ইয়া নবির ফকির ছেলে তুফান আলী ফোকির , একচাদ মন্ডলের ছেলে হায়দার আলী, আবু বক্কর মন্ডলের ছেলে আসাদুল ইসলাম । তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এ সময় অগ্নিসংযোগে তুফান আলী ফকিরের তিন ভায়ের বাড়িঘর পুড়ে ভুসিভূত হয়ে যায়।
এ বিষয়ে বলেন, আব্দুল হামিদ ফকির, কুব্বাত ফকির বলেন, রহিম আলী বলেন, আমাদের পূর্বে থেকে জমি জায়গা নিয়ে ঝামেলা চলছে চাচাতো ও মামাতো ভাই কাবিল ফকিরের ছেলে আনোয়ার ফকির দের সাথে। আমরা ঈগল প্রতীকের সমর্থনে ভোট করেছি এবং আনোয়ার ফকিরেরা ট্রাক মার্কা প্রতীকের সমর্থনে ভোট করেছে। গত কাল ভোটে জিতার পরেই তারা আজ সকালে হামলা চালায় এবং অগ্নিসংযোগ করে।
এদিকে আনোয়র ফকির দাবি করেন আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম তারা আমার উপর হামলা করে। তাদের ছোড়া ককটেল বিস্ফরণে আগুন লেগে সব পুড়ে গেছে। এ সময় তারা উভয়ে উভয়কে বি এন পি সমর্থক বলে দাবি করেন।
এদিকে উপজেলা চরসাদিপিুর গ্রামে ট্রাক মার্কা প্রতীকের সমর্থন বীর মুক্তিযোদ্ধা জাদু আলী সরকারের ছেলে রফিকুল ইসলাম এর ট্রাক ভাংচুর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান মক্কেলের ছেলে কামরুল ইসলামের বাড়িঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে নৌকা মার্কার সমর্থক মেম্বার মনিরুল ইসলাম সহ তার লোকজন এর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে মেম্বার মনিরুল ইসলাম বলেন, তারা আমাদের ট্রাক ও দোকান পাটে ভাংচুর করেছে। তাদের নিজের দোষ ডাকতে তারা তাদের গাড়ি নিজে ভাংচুর করে আমাদের নাম দিচ্ছে। এই ঘটনার আমরা সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
উভয় ঘটনায় ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট কাজ করেন, ভেড়ামার ফায়ার স্টেশন অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯ টা ১০ মিনিটে আমরা খবর পাই। ১৭ মিনিট পরে আমরা ঘটনা স্থানে পৌঁছায় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। আমরা প্রাথমিক ভাবে শুনে বুঝতে পারছি এটা নাশকতামূলক কর্মকান্ড। বাকিটা তদন্ত করে বোঝা যাবে।
এদিন ঘটনা স্থান পরিদর্শন করেছেন, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজা ও কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার আবদুর রকিব । এ সময় তারা এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত সকল ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস প্রদান করেন।
Devoloped By WOOHOSTBD