তাহিরপুর উপজেলার বালিজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেনের গ্রামের বাড়ির বসতঘর সংলগ্ন গো-খাদ্যের ঘরে আগুন দেওয়ার দুইদিন পর মাতাবপুর গ্রামের মৃত ছালেক মিয়ার ছেলে মোবারক মিয়া (৩৫) গ্রেফতার।
শনিবার সন্ধ্যার দিকে আনোয়ার পুর বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে আগুন দেয় আসামি মোবারক মিয়া সকাল ১১টার দিকে তাহিরপুর থানায় বাদী হয়ে একটি লিখত অভিযোগ দেয় উত্তম মিয়া তিনি অভিযোগে লিখেন,আমি একজন নিরীহ মানুষ পক্ষান্তরে বিবাদী অত্যন্ত উগ্র, উশৃঙ্খল, নাঙ্গাবাজ ও লোভী প্রকৃতির লোক হিসেবে এলাকায় পরিচিত। আমি ও বিবাদী একই গ্রামের পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা হই। প্রায় ১ বছর পূর্বে বিবাদী মোবারক মিয়া আমার নিকট হইতে ৩,০০,০০০/- টাকার ধান নিতে চায় এবং ২-৩ মাস পর টাকা নিতে পারবে বলিয়া জানায়। পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা হওয়ার কারনে আমি সরল বিশ্বাসে বিবাদী মোকারক মিয়াকে ৩,০০,০০০/- টাকার ধান দিয়ে দেই। পরবর্তীতে বিবাদী মোবারক মিয়ার নিকট আমি অনেকবার আমার পাওনা টাকা চাইলে বিবাদী মোবারক মিয়া আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজসহ আমার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে ক্ষতি করিবার হুমকি দেয়। বৃহস্পতিবার ১৬ই মে রাত ০৩:৩০ সময় আমার বসত বাড়ির খড়ের ঘর ও ধানের উগারে আগুন লাগে। লোকজন বিষয়টি দেখতে পেরে চিৎকার করেন। গ্রামের লোকজন এসে গেট খুলে ভেতরে ডুকে প্রায় দু’ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভান।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন বলেন, আসামী মোবারক মিয়ার লক্ষ্য ছিল ধানের গোলার সমস্ত ধান আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া। খড়ের ঘরের পাশাপাশি ছিল ধানের গোলা ও দুইতলা পাকা ভবন। খড়ের ঘরের ও ধানের গোলায় আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে গ্রামবাসী আগুন নেভানোর জন্য সবাই চেষ্টা করেন। দুইঘন্টাব্যাপী সবার আন্তরিক সহযোগিয় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। ধানের গোলাতে প্রায় ১২শ’ মণ ধান ও গো-খাদ্যের পুড়ে চাই হয়ে যায়।
তাহিরপুর থানার ইনচার্জ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন মোবারক মিয়াকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
Devoloped By WOOHOSTBD