হাফিজুর রহমান : চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের গ্রাহক সেবার মান এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি দালাল ও দুর্নীতি মুক্ত এমনটি দাবী করছেন চুয়াডাঙ্গা বাসী মহান আল্লাহ্ রহমত পাসপোর্ট করতে আসা রাজু মিয়া জানান, “চুয়াডাঙ্গাতে এখন পাসপোর্ট করা খুব সহজ হয়েছে। এর আগে দুর্নীতির স্বীকার হয়েছি। এখন আর কোন ঘুষ দেওয়া লাগে না।” প্রতিষ্ঠানে প্রত্যেক কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্তরিকতায় জেলার সাধারণ মানুষের মন জয় করে নিয়েছে।বাবর আলী বলেন, মালয়েশিয়াতে যাওয়া জন্য পাসপোর্ট করতে আসছি। আগে শুনতাম “দালাল না ধরলে পাসপোর্ট করা যায় না। কিন্তু অফিসে এসে দেখলাম উল্টো। কাজ করানোর জন্য দালাল খুজে পাইনি। অফিসের কর্মকর্তা /কর্মচারীরা ডেকে ডেকে কাজ করে দিচ্ছেন গ্রাহকদের।” উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুস সাত্তার – তিনি ০৬ নভেম্বর ২০২২ চুয়াডাঙ্গা অফিসে যোগদানের পর প্রতি মাসে অধিক পাসপোর্টের কাজ সম্পাদন করেছেন এবং সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের আন্তরিক সহযোগিতায় কোন ধরনের ঘুষ/অনিয়ম ছাড়াই সকল ধরনের সেবা গ্রাহকদের দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
চুয়াডাঙ্গা পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার বলেন, এই অফিসে দৈনিক আবেদনের চাহিদা তিন থেকে চার শতাধিক । এখানে ছবি তোলা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও আইরিশ স্ক্যান করা হয় ২টি বুথে। ‘আমাদের যা লোকবল তা দিয়ে দৈনিক ২০০টি আবেদনের কাজ করতে পারি। কিন্তু লোকবল সংকটেট কারণে বাধ্য হয়েই তিন থেকে চার শতাধিক আবেদন নিষ্পন্ন করতে হচ্ছে।’অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন আমাদের অফিসে জনবল সংকট, জনবল না বাড়ালে নতুন পাসপোর্ট, নবায়ন ও সংশোধন—সহ বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক কাজ করতে আমাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে।
পাসপোর্ট করতে আসা সুমন নামের এক ব্যক্তি বলেন ভোগান্তি ও দালাল ছাড়াই পাসপোর্ট করতে এসেছি। শুনেছি চুয়াডাঙ্গা পাসপোর্ট অফিসে এখন দালাল ও ভোগান্তি ছাড়াই অতি সহজে পাসপোর্ট পাচ্ছেন সবাই তাই আমিও চলে এসেছি পাসপোর্ট করতে সেই জন্য মানুষের এ চাপ আরও বেড়েছে।
Devoloped By WOOHOSTBD