• বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
দৈনিক হালচাল পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে নিয়োগ পেলেন সাইফুল ইসলাম মধ্যনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই ব্যাবসায়ীকে জরিমানা ফ্রান্সে নানা আয়োজনে উদ্বোধন হলো বাংলা ম্যারেজ ব্যারো তাহিরপুরে নানা আয়োজনে প্রতিবন্ধী দিবস পালিত রাজনগরে মোটরসাইকেল পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২ কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ফাংশনের চরমমান অন্বেষণ: তত্ত্ব এবং প্রয়োগ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট এনজিও সংস্থা আশার উদ্যোগে ৪ শতাধিক শীতবস্ত্র হস্তান্তর তাহিরপুরে টাঙ্গুয়ার হাওরে অভিযান পরিচালনা করে ২টি নৌকাসহ নিষিদ্ধ কোনাজাল আটক করা হয়েছে এবং ঘটনাস্থল থেকে ৬ জন ব্যক্তিকে আটক চট্টগ্রামে  প্রতিবেশ সুরক্ষা, জীবাশ্ম জ্বালানি ভিত্তিক প্রকল্প বাদ দিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের প্রসারে ফোরাম অন ইকোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট গঠিত” দৌলতপুর সমিতি কুষ্টিয়ার সভা অনুষ্ঠিত 

কালবৈশাখী ঝড়ে তচনচ হয়ে যায় আবু বক্করের ঘর

Muntu Rahman / ১০৭ Time View
Update : সোমবার, ১ এপ্রিল, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার::

মোহাম্মদ নূর ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড়ে তচনচ করে দিল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নতুন হাছন নগরের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে দিনমজুর মো: আবু বক্করের ঘর। রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় বজ্রপাতও। কিছু সময় পর শুরু হয় বৃষ্টি। সঙ্গে পড়তে থাকে শিলাও। ১০-১৫ মিনিট স্থায়ী ছিল শিলাবৃষ্টি। আর এতেই ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জবাসী।

সম্প্রতি ঘুর্ণিঝড়ের এই তান্ডবে মুহূর্তেই মাঝে যেনো লন্ডভন্ড হয়ে যায় দিনমজুর আবু বক্করের ঘর। দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে ছোট একটি টিনের ঘরের বসত করেন ঐ দিনমজুর । হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ায় মুহূর্তের মাঝে টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায় সেই সাথে শিলা বৃষ্টিও হচ্ছিল কি করবে ভেবে উঠার আগেই একসময় পাশের বেরা ভেঙ্গে উপরে পড়ে যায়, পরে তাদের চিৎকার চেঁচামি কান্নার আওয়াজ শুনে পাশের ঘরের লোকেরা তাদের কোনরকম উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় রাখেন।

এব্যাপারে দিনমজুর আবু বক্কর বলেন, আমার অনেক কষ্টের গড়া এই ছোট টিনের ঘর। আমি একজন রং মিস্ত্রি দিন আনি দিন খাই। অনেক সময় আমার চুলায় আগুনও জ্বলে না । আমার মেয়ে একজন সরকারি এসএসি বালিকার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আর ছেলেটি এইচ এম পি হাই স্কুলের এবার ক্লাস সিক্সে পড়ে। অনেক কষ্টে তাদের লেখাপড়া খরচও আমাদের তিন বেলার খাবার জোগাড় করতে হয়। রাতে এই ভয়াবহ ঝড় তুফানে আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। আমার বাচ্চাদের পড়ার বইসহ ঘরের জিনিস সব শেষ। এখন থাকার আমার কোন উপায় দেখছি না, এই মুহূর্তে কি করবো কি খাব খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছি। বাচ্চাদের মুখে দিকে তাকালে আমার বুক ফেটে যায়। আপাতত অন্যের ঘরে আশ্রয় নিচ্ছি আমার বসতভিটা একদম পরিষ্কার হয়ে গেছে , তেরপাল টাঙ্গিয়ে থাকবো সেই অর্থও আমার কাছে নেই। এই মুহূর্তে সেহরি খাওয়ার মতই আমার কোনো ক্ষমতা নাই। আবার সামনে ঈদ বর্তমানে মরণ ছাড়া যেন আমার আর কোন উপায় নেই । তাই স্থানীয় প্রশাসন সহ সুনামগঞ্জ জেলার সকল জনপ্রতিনিধিদের আছে আমি মিনতি ভাবে সুদৃষ্টি কামনা করছি আপনাদের মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আমাকে একটু সহযোগিতা করুন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Devoloped By WOOHOSTBD