মোহাম্মদ নূর ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড়ে তচনচ করে দিল সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার নতুন হাছন নগরের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে দিনমজুর মো: আবু বক্করের ঘর। রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় বজ্রপাতও। কিছু সময় পর শুরু হয় বৃষ্টি। সঙ্গে পড়তে থাকে শিলাও। ১০-১৫ মিনিট স্থায়ী ছিল শিলাবৃষ্টি। আর এতেই ব্যাপক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জবাসী।
সম্প্রতি ঘুর্ণিঝড়ের এই তান্ডবে মুহূর্তেই মাঝে যেনো লন্ডভন্ড হয়ে যায় দিনমজুর আবু বক্করের ঘর। দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে ছোট একটি টিনের ঘরের বসত করেন ঐ দিনমজুর । হঠাৎ করে ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ায় মুহূর্তের মাঝে টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায় সেই সাথে শিলা বৃষ্টিও হচ্ছিল কি করবে ভেবে উঠার আগেই একসময় পাশের বেরা ভেঙ্গে উপরে পড়ে যায়, পরে তাদের চিৎকার চেঁচামি কান্নার আওয়াজ শুনে পাশের ঘরের লোকেরা তাদের কোনরকম উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় রাখেন।
এব্যাপারে দিনমজুর আবু বক্কর বলেন, আমার অনেক কষ্টের গড়া এই ছোট টিনের ঘর। আমি একজন রং মিস্ত্রি দিন আনি দিন খাই। অনেক সময় আমার চুলায় আগুনও জ্বলে না । আমার মেয়ে একজন সরকারি এসএসি বালিকার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আর ছেলেটি এইচ এম পি হাই স্কুলের এবার ক্লাস সিক্সে পড়ে। অনেক কষ্টে তাদের লেখাপড়া খরচও আমাদের তিন বেলার খাবার জোগাড় করতে হয়। রাতে এই ভয়াবহ ঝড় তুফানে আমার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। আমার বাচ্চাদের পড়ার বইসহ ঘরের জিনিস সব শেষ। এখন থাকার আমার কোন উপায় দেখছি না, এই মুহূর্তে কি করবো কি খাব খুবই দুশ্চিন্তায় রয়েছি। বাচ্চাদের মুখে দিকে তাকালে আমার বুক ফেটে যায়। আপাতত অন্যের ঘরে আশ্রয় নিচ্ছি আমার বসতভিটা একদম পরিষ্কার হয়ে গেছে , তেরপাল টাঙ্গিয়ে থাকবো সেই অর্থও আমার কাছে নেই। এই মুহূর্তে সেহরি খাওয়ার মতই আমার কোনো ক্ষমতা নাই। আবার সামনে ঈদ বর্তমানে মরণ ছাড়া যেন আমার আর কোন উপায় নেই । তাই স্থানীয় প্রশাসন সহ সুনামগঞ্জ জেলার সকল জনপ্রতিনিধিদের আছে আমি মিনতি ভাবে সুদৃষ্টি কামনা করছি আপনাদের মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে আমাকে একটু সহযোগিতা করুন।
Devoloped By WOOHOSTBD