ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা –
এ সমস্যায় আমরা কম বেশী সকলে ভুগে থাকি। কথায় বলে পেট ক্লিয়ার মানে অল ক্লিয়ার। তাই কোষ্ঠবদ্ধতা সম্পর্কে একটু বেশি আলোচনা প্রয়োজন কারণ কোষ্ঠবদ্ধতাই অধিকাংশ রোগের মূল কারন।
দৈনিক একবার পায়খানা হলেও সে সুখী নয়। অথচ এমন বহুমানুষ আছে যাদের ১ বার পায়খানা হয় না। কারো ২/৩ দিন অন্তর আবার কারো ৭/৮ দিন অন্তর পায়খানা হয়। তবুও তারা বেঁচে থাকে। ডা. হেরিং বলেন কোষ্ঠকাঠিন্যের ব্যাক্তিরা দীর্ঘ জীবি হয়: যদি তারা এজন্য আত্মহত্যা না করে কোষ্ঠকাঠিন্য বলতে কেবল শক্ত পায়খানাকে বুঝায় না। নরম পায়খানাও যাদি বের করতে কষ্ট হয়, তাকে ও কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য কোন রোগ নয় বরং এটি শরীরের ভেতরকার অন্য কোন মারাত্মক রোগের একটি লক্ষন মাত্র।
কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণঃ
* আঁশ জাতীয় খাবার শাকসবজি ও ফলমূল কম খেলে।
* পানি কম খেলে।
* দুশ্চিন্তা করলে।
* কায়িক পরিশ্রম, হাটা চলা,ব্যায়াম কম করলে।
* অন্ত্র নালীতে ক্যান্সার হলে।
* ডায়াবেটিস হলে।
* বিভিন্ন ধরনের ঔষুধ সেবন যেমন- ব্যথার ঔষুধ, উচ্চ রক্ত চাপের ঔষুধ, গ্যাষ্টিকের ঔষুধ।
কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষনঃ
* শক্ত পায়খানা হওয়া।
* পায়খানা করতে অধিক সময় লাগা।
* পায়খানা করতে অধিক চাপের দরকার হওয়া।
* অধিক সময় ধরে পায়খানা করার পরও পূর্নতা না আসা।
* মলদ্বারের আশে পাশে ও তল পেটে ব্যথা অনুভব করা।
* আঙ্গুল কিংবা অন্য মাধ্যমে পায়খানা বের করা।
কোষ্ঠকাঠিন্যের দূর করার উপায়ঃ
* কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য বেশী করে শাক-সবজি ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে।
* বেশি করে পানি খেতে হবে দুশিন্তা দূর করতে হবে।
* যারা দিন বসে বসে কাজ করেন তাদের কে নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং যে সমস্ত রোগের জন্য কোষ্ঠ কাঠিন্য হয় তার চিকিৎসা করতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা না করা হলে যে সমস্যা হতে পারে পায়খানা ধরে রাখার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে,
পাইলস,এনাল ফিশার, রেকটাল প্রোলাপস,মলদ্বার বাইরে বের হয়ে যেতে পারে মানসিক ভাবে রোগাক্রান্ত হবার প্রবনতা থাকে,প্রসাব বন্ধ হতে পারে,খাদ্য নালীতে প্যাঁচ লেখে পেট ফুলে যেতে পারে খাদ্য নালীতে আলসার বা ছিদ্র হয়ে যেতে পারে।
কোষ্টকাঠিন্যের জন্য অনেকে প্রতিনিয়ত পায়খানা নরম করার বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সিরাপ এবং মলদ্বারের ভেতরে দেওয়ার ওষুধ ব্যবহার করে থাকে, যা মোটেও উচিত নয়। প্রতিনিয়ত পায়খানা নরম করার ওষুধ ব্যবহার করলে যেটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় ফলে মলদ্বার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা আর থাকেনা। তাই বয়স্ক এবং যারা পরিশ্রমের কাজ করেন না। এদের মধ্যে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তাদের উচিত কোষ্ঠকাঠিন্যের কারন নির্ণয় করে হোমিও মূল নীতি অনুসরন কারীর কাছে চিকিৎসা নিতে পারলে আশা করি আল্লাহর রহমতে হোমিওতে এটার চিকিৎসা করা সম্ভব।
হোমিও চিকিৎসা : কোষ্ঠকাঠিন্যার জন্য অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথগণ যেসব রেমিডি ব্যবহার করে থাকেন যেমন- নাক্স ভোম, সালফার, ব্রাইওনিয়া, গ্রাফাইটিস, ওপিয়াম, প্লাম্বাম মেট, লাইকোপোডিয়াম ইত্যাদি।
এছাড়াও সালাদ, জল, সব্জী ইত্যাদি প্রচুর পরিমানে খেতে হবে।
তৈলাক্ত জাতীয় বর্জন করতে হবে। সহজে হজম হয় এমন খাদ্য খেতে হবে।
প্রয়োজনে ০১৭১২-২৭৬৭৫৩
Devoloped By WOOHOSTBD