বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির বিশেষ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তিনি সুনামগঞ্জ-০১ (তাহিরপুর, ধর্মপাশা, মধ্যনগর ও জামালগঞ্জ) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী।
২০১৮ সালেও তিনি বিএনপির মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এর আগে তিনি যুবদল (আলাল-নিরব কমিটি) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আইন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাবেক ছাত্রনেতা রেজাউল করিম জামালগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম শুধু রাজনীতিতেই নয়, সামাজিক কর্মকাণ্ডেও সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি “অ্যাসোসিয়েশন ফর ল রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস”-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন, ট্রাফিক সমস্যা ও সামাজিক ইস্যু নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন।
জাতীয় বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিয়ে জনগণের আইনি ও সামাজিক সচেতনায় বিশেষ ভূমিকা রাখছেন। বর্তমানে তিনি চেঞ্জ টিভির লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ওই চ্যানেলের সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির চিফ কো-অর্ডিনেটর ও প্রশিক্ষক হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
সামাজিক সংগঠন গুলোর সঙ্গেও তার গভীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। তিনি রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি সুনামগঞ্জ জেলা ইউনিট ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি-এর আজীবন সদস্য। এছাড়া তিনি ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ সমিতির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের আইসিটি সেলের সাবেক সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন, ঢাকা-এর কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য (সুনামগঞ্জ) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মামলায় তার সিনিয়র অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীনকে তিনি দীর্ঘদিন ধরে আদালতে সহায়তা করেছেন। ১/১১-এর পর থেকে তিনি বিএনপি পরিবারের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক মামলায় আইনজীবী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
মোহাম্মদ রেজাউল করিম ভবিষ্যতে সিলেট বিভাগ ও সুনামগঞ্জ জেলার উন্নয়ন, ঐক্য এবং জনগণের কল্যাণে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন,
“ঐক্য ছাড়া সমাজ, রাষ্ট্র বা দল—কোনোটিই এগিয়ে যেতে পারে না।”
তিনি সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং বলেন, “আমি আমৃত্যু এদেশের উন্নয়ন, ঐক্য ও গণমানুষের অধিকারের জন্য কাজ করে যেতে চাই।”
Devoloped By WOOHOSTBD