ঢাকা অফিসঃ
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির উদ্যোগে আজ ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
দলীয় সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, সহ-সভাপতি মীর হোসাইন আখতার, ফজলুর রহমান বাবুল, শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, শওকত রায়হান, মোহাম্মদ মোহসীন, মীর্জ মোঃ আনোয়ারুল হক, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জাসদের সাধারণ সম্পাদক এড. মুহিবুর রহমান মিহির, ঢাকা মহানগর পূর্ব জাসদের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, ঢাকা মহানগর পশ্চিম জাসদের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বাবুল, জাতীয় যুব জোটের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সামছুল ইসলাম সুমন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ন-মা) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাশিদুল হক ননী প্রমূখ।
সভাপতির ভাষণে হাসানুল হক ইনু এমপি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয় বাঙালি জাতির ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম গৌরব ও অহংকারের বিষয়। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়েল মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি প্রমাণ করেছে পৃথিবীর কোনো শক্তিই বাঙালি জাতিকে দমিয়ে রাখতে পারেনি, পারবেও না। ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মবলিদান, দুই লক্ষ নারীর সম্ভ্রম, কোটি কোটি মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি অতীতের সকল বিভ্রান্তি, বির্তক, অমীসাংসিত বিষয়ের চূড়ান্ত মীমাংসা, ফয়সালা, সমাধান করেছিল। মুক্তিযুদ্ধে মীমাংসিত ফয়সালা সমাধানের ভিত্তিতেই ১৯৭২ সালের সংবিধান রচিত হয়েছিল। জাতির দুর্ভাগ্য স্বাধীনতার ৫১ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি মুক্তিযুদ্ধে মীমাংসিত বিষয়সমূহ ও সংবিধানকে অস্বীকার করে বাংলাশে রাষ্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করছে। সামরিক শাসক জিয়ার চাপিয়ে দেয়া রাজনৈতিক দল বিএনপিই মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, পাকিস্তানপন্থীর মূল ধারক, বাহক, দূর্গ। জনাব ইনু বলেন, বিএনপি-জামাতের ক্ষমতা পুনর্দখলের আন্দোলন আসলে গোলাম আযমে ‘পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার আন্দোলন’।বিএনপির ১০ দফা সংবিধান, আইন, আদালতের কবর দিয়ে অসাংবিধানিক অস্বাভাবিক জঙলি সরকার আনা এবং সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক যুদ্ধাপরাধ, জঙ্গবাদী সন্ত্রাস, দূর্নীতি অপরাধে সাজাপ্রাপ্তদের পক্ষাবলম্বনের কালো দলিল। তিনি বলেন, ১০ দফা দিয়ে বিএনপি আবারও প্রমাণ করলো যে, তারা দেশকে সংবিধানের বাইরে ঠেলে ফেলে দিয়ে অসাংবিধানিক অস্বাভাবিক জঙলি সরকার আনার ষড়যন্ত্রের রাজনীতির পথই আঁকড়ে ধরে আছে। তাদের আসল উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধ, জঙ্গীবাদী সন্ত্রাস ও দূর্নীতির বিচার বন্ধ করা। সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গীবাদী সন্ত্রাসী, দূর্নীতিবাজদের মুক্ত করা। বিএনপি সংবিধান, আইন, আদালত কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করে না।দেশে সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কোনোভাবে আলেম, ওলেমা, ইসলামী চিন্তাবিদ, ইসলাম ধর্ম প্রচারক বন্দি নাই। যুদ্ধাপরাধ ও জঙ্গীবাদী সন্ত্রাসের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে প্রকাশ্য আদালতে সাজাপ্রাপ্ত এবং দেশের সর্বোচ্চ আদালত কর্তৃক সে সাজা নিশ্চিত হয়ে যারা বন্দি আছে তারা কেউই প্রকৃত আলেম, ওলামা, ইসালামি চিন্তাবিদ, ইসলাম ধর্ম প্রচারক নয়। তারা ধর্মের অপব্যবকারী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মী। কোনো যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গীবাদী সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক নেতা ধর্মের মনগড়া ব্যাখা বা অপব্যাখ্যা দিয়ে ওয়াজ করলেই আলেম বা নিরপাধী হয়ে যায় না। দেশের কেউই আইন আদালতে উর্ধে না, মসজিদের ইমাম বা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল বা ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক নেতাও আইন আদালতে উর্ধে না।
Devoloped By WOOHOSTBD