সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের চিহ্নিত চোরকারবারী শিহাবের জন্তনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। অনুসন্ধানে জানা যায় সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় চোরাই শাড়ী, কসমেটিকস, গরুসহ বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় মাদকের চালান আসছে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহিম পুর অঞ্চলটিতে চুরা কারবারি শিহাবের মাধ্যমে। প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তার যোগ সাজসে চলে ঐ সমস্ত কার্যকলাপ । তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদের পড়তে হয় মিথ্যা মামলা থেকে শুরু করে প্রাণনাশের হুমকিতে । এমনটিই অভিযোগ পাওয়া গেছে চিন্নিত চোরাকারবারীর অন্যতম গডফাদার তাজুয়ার আফজল শিহাবের বিরুদ্ধে। শিহাব সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের বাসিন্দা ইব্রাহিমপুর গ্রামের মোঃ আফজাল হোসেন ছানা মিয়ার ছেলে এবং বর্তমান সুরমা ইউপি চেয়ারম্যানের আপন ভাতিজা। শিহাব দীর্ঘদিন যাবৎ ধরে প্রভাব প্রতিপত্বির জোরে প্রতিরাতে লক্ষ লক্ষ টাকার ভারতীয় অবৈধ মালামাল নিরাপদে সীমান্ত দিয়ে আনলে ও কারো সাহস নেই প্রতিবাদ করার। তার এমন কর্মকান্ডের ফলে এলাকার যুব সমাজের বর্তমান প্রজন্মের ছেলেরা অনেকেই মাদকাসক্ত হয়ে বিপদগামী হচ্ছে বলে অভিযোগ অনেকের। এছাড়াও আরও জানা যায় শিহাবের সম্পর্কে বোন জামাই একজন পুলিশের এএসপি রয়েছেন । যার ফলে প্রশাসনের সু দৃষ্টি রয়েছে তার উপর। তার বাস্তব প্রমানও দেখিয়েছেন এলাকাবাসীকে চুরা কারবারি শিহাব। জানা যায় ইব্রাহিমপুর বাজারে শিহাবের একটি গুডাউন রয়েছে সেখানে লক্ষ লক্ষ টাকার ভারতীয় পণ্য রাতের আঁধারে এনে মজুত করেন শিহাব। তার এমন কর্মকাণ্ড এলাকাবাসীর নজরে আসলেই সাধারণ মানুষেরা পুলিশের কাছে সহযোগিতা পাওয়ার জন্য 999 এ বার বার জানালেও রহস্যময় কারণে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশের কোন সহযোগিতা পাওয়া হয়নি। তার এমন কার্য কলাপে গ্রামসহ আশপাশের যুবকরা অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ মুখর হয়ে উঠেছেন।
জানা যায় – ১৭ই
আগষ্ট ২০২৩ইং তারিখে চোরাকারবারীর গডফাদার শিহাব নিজ গ্রামে গরুর খামার থেকে চোরাই মালামাল শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় শাড়ী, লেহেঙ্গা, চাপাতাসহ বিভিন্ন ধরনের বিপুল সংখ্যক ভারতীয় অবৈধ পণ্যসহ র্যাব -৯ এর হাতে ধরা পড়েন এবং বেশ কিছুদিন জেলও খেটেছেন। তিনি জেল থেকে বের হয়ে সদর থানার এক জন এসআইকে হাত করে পূণরায় শুরু করেন তার সেই পূর্বের লাভজনক ব্যবসা । ভারতীয় সীমান্ত থেকে প্রতিরাতে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে অবৈধ পণ্যের জমজমাট ব্যবসা। শুধু তাই নয় শিহাবের একটি ছিনতাইকারী বাহিনীও রয়েছে তারা রাতের আঁধারে নিরীহ ব্যবসায়ীদের পণ্য আটক করে ছিনতাই করে শিহাবের গুডাউনে মজুত করেন। এবং সুযোগ পেলেই ঐ সমস্ত ভারতীয় পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়ক পথে পাটিয়ে দেন বলেও জানান অনেকেই। এছাড়াও শিহাবের গুডাউনে ভারতীয় মালামাল মজুত রাখতে যে সময় লাগবে সেই সময় ইব্রাহিম পুরের গোদারা ঘাট দিয়ে কোন সাংবাদিক রাতে ক্রাইম সিন ভিডিও করার জন্য যাতে না জেতে পারে সেই ব্যবস্তাও করে রেখেছেন চুরা কারবারি শিহাব নৌকার মাঝিকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে। যারফলে রাত ১০টার পর চানদি ঘাট গোদারা ঘাটে কোন সাংবাদিককে পাড়ি দিতে রাজি নন নৌকার মাঝি। বর্তমানে ইব্রাহিম পুর গ্রামের আতঙ্কের আরেক নাম শিহাব। কেউ মুখ খুলতে চেষ্টা করলেই তার মনোনীত সদর থানার দুই পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে মামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসী অনেকের। শিহাবের মত চুরা কারবারিরা যদি পুলিশের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে তাহলে যুব সমাজ দিন দিন নষ্ট হয়ে যাবে বলেও অভিযোগ রয়েছে এলাকাবাসীর । প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ গোপনে তদন্ত করে ভারতীয় চুরা কারবারি শিহাবের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন এবং তার সহযোগী প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিবেন এমনটি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ঐ এলাকার সাধারণ মানুষেরা।###
Devoloped By WOOHOSTBD