কুষ্টিয়া দৌলতপুরে বিদেশ গিয়ে, মিনারুলের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে সর্বস্বান্ত পিন্টু ও সাদ্দাম বলে অভিযোগ উঠেছে।
মিনারুল ইসলাম আদাবাড়ীয়া উত্তর পাড়া গ্রামের নাহা রুল ইসলামের ছেলে।
প্রতারণার স্বীকার পিন্টু আলী আদাবাড়ীয়া উত্তর পাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ও সাদ্দাম হোসেন আদাবাড়ীয়া কলোনী পাড়া গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে।
পিন্টু আলী ও সাদ্দাম হোসেন বলেন, মিনারুল ইসলাম আমাদের প্রতিবেশী এবং পাশাপাশি বসবাস করি। আমাদেরকে মালয়েশিয়া দেশে ভালো বেতনে চাকুরী দিতে পারিবো মর্মে বিশ্বাস সৃষ্টি করে। আমাদের প্রতিবেশী হওয়ায় তাহার কথায় আমরা বিশ্বাস করি। এরপর মিনারেলের সহিত ৪৫০,০০০/- টাকা করিয়া চুক্তি হয়। পরবর্তীতে অনুমান ০৫ মাস পূর্বে আমাদের উভয়ের বসত বাড়িতে বসিয়া এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতে সর্বমোট ৯,০০,০০০/- টাকা মিনারুল ইসলামকে প্রদান করি এবং আমাদের কোম্পানীর ভিসাই পাঠাইয়া দেবে মর্মে উপস্থিত মানুষের সামনে স্বীকার করে। পরবর্তীতে আমাদের মালয়েশিয়া দেশে পাঠাইয়া দেয়। সেখানে আমাদের কোম্পানীর ভিসায় না দিয়া সাপ্লাই ভিসায় দেয়। এরপর সেখানে আমাদের একটি ঘরের ভিতরে আটকায় রাখে এবং অনাহারে অর্ধহারে জীবন যাপন করিতে থাকি। সেখানে চারমাস থাকার পরে অনুমান ২০/২৫ দিন পূর্বে আমরা বাংলাদেশে চলিয়া আসি। এরপর আমাদের দেওয়া উক্ত টাকা ফেরৎ চাইলে উক্ত আজকাল করিয়া তালবাহানা করিতে থাকে। গত ইং-২৫/০৩/২০২৪ তাং বিকাল অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময় আসামীর বাড়ির সামনে উপস্থিত হইয়া আমাদের দেওয়া উক্ত টাকা ফেরৎ চাইলে আসামী আমাদের অশালিন ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আরো বলে সে কোন টাকা দেবে না, ফের টাকা চাইতে আসিলে আমাদের খুন জখম করিবে মর্মে হুমকি ধামকি দেয়।
এ বিষয়ে পিন্টু পিতা আবুল কাসেম ও সাদ্দামের পিতা শামসুদ্দিন বলেন, বিদেশ নিয়ে ভালো কাজ দিবে বলে আমাদের সাথে প্রতারণা করে আমাদের টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে মিনারুল ইসলাম। আমরা আজ সর্বস্ব ফুরিয়ে পথের ফকির হয়ে গেছি। আমরা তদন্ত পূর্ব টাকাফেরত ও মিনারুলের বিচার চাই।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী, কামাল হোসেন, উজ্জল আলী,আবু বক্কর সহ আর অনেকে বলেন, আমরা জানি মিনারুল ইসলাম ভালো কাজ দেওয়ার কথা বলে পিন্টু ও সাদ্দামকে বিদেশে নিয়ে গিয়েছিল। বিদেশে কাজ না পেয়ে পিন্টু সাদ্দাম দেশে ফিরে এসেছে। তাদের সাথে অবিচার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মিনারুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করার জন্য তার বাড়িতে গেলে তাকে বাড়িতে না পেলে তারা পরিবারের লোকজনের কাছে মুঠোফোনের নাম্বার চাইলে তারা বলেন নাম্বার নাই। পরে মিনারুল ইসলাম নিউজ না করার জন্য বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতাদের দিয়ে ফোন করান।
Devoloped By WOOHOSTBD