কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার তেকালা গ্রামের সাবেক মেম্বার লিপ্টন হোসেন তোতার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ এনে সংবাদ প্রকাশ করায় , প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তোতা।
দৌলতপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের উপস্থিতি হয়ে শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারী দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেন লিপ্টন হোসেন তোতা। এ সময় তার সাথে ছিলেন, তোতার চাচা রুহুল আমিন, মৃত ছাদেক আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম,মৃত ফকির মালিথার ছেলে শহিদুল মালিথা।
লিখিত বক্তব্যে মৃত আবুল কাসেমের ছেলে রুহুল আমিন বলেন, তেকালা মৌজার ৫৪৬নং আর এস খতিয়ানে জেঃ এলঃ ১১৬ নং এর ৫০টি দাগে মোট ২০ একর ৯৮ শতাংশ জমি। একই মৌজার ৫৪৮নং আর এস খতিয়ানে ২টি দাগে ভিটা জমি রয়েছে ২৮ শতাংশ। আর এস খতিয়ান ৫৫০নং এর ৩টি দাগে ধানী জমি রয়েছে ৩ একর ৩৮ শতাংশ। একই মৌজার আর এস খতিয়ান ৪৮০নং এর ১টি দাগে ৩৯ শতাংশ বাগান, আর এস খতিয়ান ৪৮১ নং এর ১২টি দাগে ধানী, ভিটা ও বাগান জমি রয়েছে ২ একর ২ শতাংশ। একই মৌজার ৪৮৮নং আর এস খতিয়ানে ২টি দাগে ধানী জমি রয়েছে ১ একর ৭১ শতাংশ। একই মৌজার ৪৭৯ নং আর এস খতিয়ানে ৫টি দাগে বাড়ি ও ধানী জমি রয়েছে ১ একর ১৭ শতাংশ। উপরোক্ত জমির অধিকাংশই রেকর্ড, দলিল,খারিজ মূলে আমাদের দখলে আছে।
এই সকল জমি নিয়ে একাধিক বার দেশের বিভিন্ন আদালতে মামলা হয়েছে যার বাদীপক্ষ মৃত তাঁরাচাদ শাহ্’র ওয়ারিশগন। প্রতিটা মামলায় আমরা আবুল কাসেমের পক্ষে রায় পেয়েছি। একটি মামলা বর্তমানে উচ্চ আদালতে চলমান। এছাড়া এই জমি নিয়ে তারা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বছরের পর অভিযোগ করেছে আর আমরা তার জবাব দিয়েছি। এছাড়াও ওসি বদল হলেই তারা অভিযোগ দিয়ে বাসার বা জমি দখলের চেষ্টা করেছে। বর্তমান ওসি রফিকুল ইসলাম এর কাছেও অভিযোগ দিয়েছিলেন। আমরা প্রমান দেখালে তাদের অভিযোগ বাতিল করেন ওসি সাহেব। আমাদের যদি কাগজ পত্র না থাকতো তাহলে আমরা কি এত দিন দখল রাখতে পারতাম।
হঠাৎ গত ৭ ফেব্রুয়ারী সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাদের নামে যে খবর প্রকাশ করিয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সে সাথে সঠিক তদন্ত করে নিউজ প্রকাশের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।
Devoloped By WOOHOSTBD