• মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০১:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবামূল্যায়ন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির কমিটির পূর্ণ গঠনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ কুষ্টিয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্পে বহিরাগতরা হামলা বিশ্বম্ভর পুরে ইরা সংস্থার মালালা ফান্ডের মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষায় আর্থিক সহায়তা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত ভেড়ামারায় বিদ্যুৎ এর তামাকের অফিস ভাংচুর লুটপাট এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত করেছে কতিপয় দুর্বৃত্তর ভেড়ামারায় পূর্ব শত্রুতার জেরে নাসিমের মা স্ত্রীর উপর হামলা! লুটপাট গাড়ি ও মিটার ভাংচুর ভেড়ামারায় জমির উদ্দিন এর বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট ভেড়ামারায় জনপ্রিয় গণমাধ্যম দেশ চ্যানেল এর চতুর্থ বর্ষ পালিত ভেড়ামারায় সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক আয়োজিত অসহায় দুস্থ শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ দিরাইয়ের কুলজ্ঞ গ্রামে কৃষিকাজে বাধাঁ,চাষাবাদের যন্ত্রাংশ ছিনিয়ে নেওয়াসহ হুমকি,থানায় অভিযোগ দায়ের

কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অফিস থেকে পে-অর্ডার চুরির অপরাধে নিরাপত্তা প্রহরী মামুন বরখাস্ত

Muntu Rahman / ১১৮ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৪

ভেড়ামারা প্রতিনিধি –

খাদ্য মন্ত্রণালয় ২০২৩ সালের ২৪ আগষ্ট সারা দেশের খাদ্য অফিসে চিঠি ইস্যু করে ২০২০ সালের সিডির বিষয়ে তথ্য চাইলে  সিডি গায়েবের ঘটনা বর্তমান জেলা খাদ্য কর্মকর্তার  নজরে আসে । খাদ্য অফিস থেকে কৌশলে গায়েব হওয়া এসব সিডির অর্থ ব্যাংক থেকে তুলেও নেওয়া হয়। খাদ্য অফিস থেকে কি ভাবে মিল মালিকদের জামানতের সিডি গায়েব হয়ে গেল তা নিয়ে সে সময় সৃষ্টি হয় তোলপাড় ।
“ আলমারী  থেকে ৫ মিলারের সিডি গায়েব, স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ২৩ লাখ টাকা :  সন্দেহের তীর কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী মামুনের দিকে ” শিরোনামে ২০২৩ সালের ৩০ আগষ্ট জাতীয় দৈনিক আমাদের সময়ে পত্রিকার ষ্টাফ রিপোর্টার শামসুল আলম স্বপন এর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ প্রতিবেদনের পর নড়ে চড়ে বসে খাদ্য বিভাগ ।

খাদ্য বিভাগ ও মিল মালিকদের একাধিক সুত্র জান্য়া, ২০২০ সালে বরো মৌসুমে করোনা চলাকালে মিল মালিকরা সরকারের সাথে চাল সরবরাহের চুক্তি করে। অন্যান্য মিলারদের পাশাপাশি কুষ্টিয়ার খাজানগরে অবস্থিত ব্যাপারী এগ্রো লি: ইফাদ অটোর রাইস মিলের দুটি প্রতিষ্ঠান, আল্লাহর দান রাইস মিল, হালিম অটো, জাহানারা এগ্রো ৫টি প্রতিষ্ঠান চুক্তি সম্পাদন করে । প্রথম দিকে ৫টি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪৬ লাখ  টাকার সিডি জমা ছিলো অফিসে। পরে আশিংক চাল দেওয়ায় আগের সিডি ফেরত দিয়ে ২৩ লাখ টাকার নতুন সিডি জমা রাখা হয় অফিসে। এর মধ্যে ইফাদ রাইস মিলের প্রায় ৯ লাখ টাকার চেক ছিল। ইফাদ অটো রাইস মিল দেউলিয়া হয়ে যায়। এ  ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ বাবুল হোসেন এসিফুড আব্দুল খালেককে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা  হলেন কারিগরি খাদ্য পরিদর্শক প্রবোধ কুমার পাল, অডিটর অনিক মজুমদার,উচ্চমান সহকারী আবুল আনছার । তদন্ত কমিটি সিডি গায়েবের সত্যতা পেয়ে কুষ্টিয়া খাদ্য নিয়ন্ত্রককে তদন্ত প্রতিবেদন প্রদান করেন।  প্রতিবেদন পেয়ে কুষ্টিয়া খাদ্য নিয়ন্ত্রক ৫জন মিল মালিকের নামে চিঠি ইস্যু করে তিন কার্য দিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার পাশাপাশি অর্থ জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ২০২০ সালে ওই ৫মিল মালিকের সাথে আঁতাত করে অফিসের নিরাপত্তা প্রহরী ( বর্তমান ভেড়ামারা এলএসডি ) অফিসে চাকুরিরত মামুন উর রশিদ মামুন  সিডি চুরি করে ওই ৫মিল মালিকদের সাথে যোগসাজসে টাকা তুলে ভাগাভাগি করে নেন।  নিরাপত্তা প্রহরী মামুন অর রশিদ মামুনকে মোটা টাকা ঘুষের বিনিময়ে আলমারি থেকে সিডি চুরি করিয়ে এই অপকর্মটি করেন ব্যাপারী এগ্রো রাইস মিলের মালিক তোফাজ্জেল হোসেন ব্যাপারী,তার আপন ভাই ইফাদ অটো রাইচ মিলের মালিক ইউনুস আলী এবং জাহানার রাইস মিলের মালিক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ । তারা সাবেক জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের  স্বাক্ষর জাল করে সিডি গুলো ব্যাংক থেকে ভাঙ্গায়।

একাধিক সুত্র দাবি করে ওই সময়  জগতি এলাকায় তিন কাঠা জমি কিনে দোতলা বাড়ি করেন নিরাপত্তা প্রহরী মামুন । যার বর্তমান মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। এ ব্যাপারে অনেকেই  প্রশ্ন তোলেন মামুন সামান্য নিরাপত্তা প্রহরী হয়ে বাড়ি করার এত টাকা পেল কোথায়? এর পর শুরু হয় অধিকতর তদন্ত । বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল । সিডি চুরির ব্যাপারে মামুন জড়িত বলে নিজেই লিখিত স্বীকারোক্তি দেন তদন্ত কমিটির কাছে।

জেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বাবুল হোসেন আমাদের সময়কে  জানান, চাল সংগ্রহের আগে প্রতিটি মিল মালিকের সাথে সরকার চুক্তিবদ্ধ হয়। সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যে পরিমান টাকার চাল মিল মালিক সরবরাহ করবে সেই টাকা ২ শতাংশ হারে জামানত রাখতে হয়। মিল মালিকরা ব্যাংক একাউন্টে নিদিষ্ট পরিমান অর্থ জমা দিলে সেখান থেকে একটি পে-অর্ডার দেওয়া হয়। চাল পুরোপুরি গোডাউনে দেওয়ার পর মিল মালিকরা আবেদন করলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেটি অবমুক্ত করেন। এরপর সেই অর্থ ব্যাংক থেকে তুলে নিতে পারেন মিল মালিকরা। খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে গোপনে তদন্ত করে দেখতে পান সিডিগুলো কোন এক সময় অফিসের আলমারি  থেকে বের করে নেয়া হয়েছে। সেই সিডি গুলো বের করে আনার পর ব্যাংকে ভাঙ্গিয়ে অথর্  তুলে নেওয়া হয়। তবে সংশ্লিষ্ট মিলারদের কাছ থেকে পাওনা টাকাও আদায় করা সম্ভব হয়েছে ।

তিনি আরো জানান, বোরো /২০২০ মৌসুমে সংগ্রহ কাজে চুক্তি সম্পাদনকারী ৫মিলের জামানত হিসাবে দাখিলকৃত পে-অর্ডার জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবমুক্ত করনের সাথে জড়িত ( লিখিত স্বীকারোক্তি ) থাকার অভিযোগে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের প্রাক্তন নিরাপত্তা প্রহরী বর্তমান ভেড়ামারা এলএসডি অফিসে কর্মরত মো: মামুন অর রশিদকে গত ১ নভেম্বর ২০২৩  তারিখে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করারও প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া  পে-অর্ডার জাল-জালিয়াতির সাথে জড়িত থাকার কারণে ৩টি মিলের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সেলফোনে অভিযুক্ত মামুন ও ঘটনার সাথে  জড়িত মিল মালিকদের বক্তব্য নেয়ার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব  হয়নি। মামুন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইবি থানার উজানগ্রাম ইউনিয়নের মাধপুর গ্রামের  আব্দুল মান্নানের ছেলে


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Devoloped By WOOHOSTBD