মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বীর প্রতীক এক অনির্ধারিত আলোচনায় বলেছেন, ক্যাব সাধারন মানুষের অধিকার সুরক্ষায় নিরলসভাবে সংগ্রাম করছে। মানুষের বৈষম্য দূরীকরণে ২০২৪ সালে ৫ আগষ্ট বিপুল পরিমান তরুণ ও সাধারন মানুষ আত্মহুতি দিয়েছে। কিন্তু তাদের সে আত্মহুতি এখনও পুরোপুরি সফল হয়নি। বৈষম্য ও নানা অনিয়ম এখনো বিদ্যমান। আর এই অনিয়ম দূরীকরণে ক্যাব যেভাবে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছেন সেভাবে সামাজিক সংগঠনগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। আর এসমস্ত সংগঠনগুলোকে সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা ও সমর্থন দিয়ে যাবে। যদি আইনগতভাবে কিছু করা দরকার তাহলে সেটাও করা হবে। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ইং নগরীর সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগে ক্যাব এর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ বিষয়ে ক্যাব নেতৃবৃন্দের বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জমান,বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ডঃ মোঃ জিয়াউদ্দীন, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কামরুজ্জমান। আলোচনায় অংশনেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক ফয়েজউল্যাহ, জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার ফারহান ইসলাম, বিএসটিআই এর সহকারী পরিচালক রিগ্যান বৈদ্য, কলকারখানা পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক মাহবুবুল হাসান। ক্যাব বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন,ক্যাব নোয়াখালীর সাধারন সম্পাদক রুমানা ইসলাম, ক্যাব কুমিল্লার সাধারন সম্পাদক কাজী মাসুদ, ক্যাব বিবাড়ীয়ার সাধারন সম্পাদক সৈয়দ শাহীন মুহাম্মদ, ক্যাব রাঙ্গামাটির সাধারন সম্পাদক রানা মহসিন,যুব ক্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি আবু হানিফ নোমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি রাব্বি তৌহিদ, কর্নফুলী উপজেলা সাধারন সম্পাদক সিদরাতুল মনুতাহা, ক্যাব চট্টগ্রাম মহনগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, যুগ্ন সম্পাদক মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, বনফুলের জিএম আনামুল হক, ড্রিংকিং ওয়াটার ম্যানুফেকচার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফয়সাল আবদুল্লাহ আদনান, সমাজ কর্মী জুলকার নায়েন ও যুব ক্যাব সদস্য নাফিসা নবী প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ডঃ জিয়াউদ্দীন বলেন, আগামি প্রজন্মের জন্য সুন্দর ও মর্যদাপুর্ন সমাজ রেখে যেতে হলে আমাদের সকলকে ক্যাব এর আন্দোলনকে জোরদার করতে হবে। সরকারে যে কোন মন্দ কাজের সমালোচনা করে সঠিক পথে আনা ও ভালো কাজের সাথে সমর্থন দিয়ে সুন্দর পৃথিবী রচনায় সকলকে একযোগে কাজ করার বিকল্প নাই।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সচিব সফিকুজ্জমান বলেন, সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কাজের নানা ত্রুটি বিচ্যুতি ও সীমাবদ্ধতাকে উত্তরণের জন্য ক্যাব এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সরকারি সংস্থারগুলোর সমনন্বিত ভাবে কাজ করার বিকল্প নাই। সরকারী দপ্তরগুলোর অনেক ধরনের সীমাবদ্ধা রয়েছে। আবার সরকারের সম্পদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। সেক্ষেত্রে জনগনের প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসাবে ক্যাব সেখানে সরকারের সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় সহযোগিতা প্রদান করে সরকার ও জনগনের মাঝে সেতুবন্ধন হিসাবে কাজ করতে বদ্ধ পরিকর। সেকারনেই দীর্ঘ ৩১ বছর সরকারি চাকুরী করে জনগনের এই প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হয়ে জনগনের জন্য আরও যেন বেশি কাজ করতে পারি তার জন্য এখানে যুক্ত হয়েছি। সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও উপজেলার প্রতিনিধিসহ ১৫০জন উপস্থিত ছিলেন।
Devoloped By WOOHOSTBD