মোহাম্মদ মাসুদ বিশেষ প্রতিনিধি।
র্যাব-০৭ এবং র্যাব-৮ এর যৌথ অভিযানে দিনের বেলায় ডাকাতি লুটকৃত স্বর্ণঅলংকার(৪০ভরি স্বর্ণ) ও ব্যবসায়ীকে খুনের মামলার অজ্ঞনামা ২জন আসামী যারা ছিল ডাকাতিতে জড়িতদে গ্রেফতার করে। আত্মচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলেও ডাকাতরা ককটেল বিষ্ফোরন করে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে মটর সাইকেলযোগে পালিয়ে যায়। অবশেষে ধরা পড়ে রেবের হাতে। আসামীরা বর্ণিত ডাকাতি ও খুনের সাথে জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে।
৬জানুয়ারি রাত সারে ৩টায় যৌথ আভিযানিক দল পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া থানাধীন চরদুয়ানী বাজার এলাকা হতে অজ্ঞাতনামা আসামী ১। মোঃ রাকিব (২০) এবং ২। মোঃ আয়নাল মাল (৩২) উভয় সাং-দক্ষিন ভেচকি থানা-মঠবাড়িয়া,জেলা-পিরোজপুরদ্বয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করে। লুটকৃত স্বর্ণের বাজার মূল্য প্রায় ২৮ (আঠাশ লক্ষ) টাকা।
ঘটনার ভুক্তভোগী ভিকটিম অর্জুন চন্দ্র ভাদুড়ী (৫৭)দীর্ঘদিন যাবত ফেনী জেলার সোনগাজী এলাকায় স্বর্ণের ব্যবসা করে আসছিলেন। গত ৩০অক্টোবর দুপুর আনুমানিক ১ঃ৪৫ টায় ২টি মোটার সাইকেল যোগে ৪জন অজ্ঞাতনামা ডাকাতদল সদস্য তার স্বর্ণের দোকানে ঢুকে তাকে দেশীয় চাপাতি দ্বারা কুপিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আহত করে এবং দোকানের শো-কেস ভেঙ্গে ও লকার খুলে লুট করে।ভিকটিম অর্জুন জীবন রক্ষার্থে চিৎকার করলে আশ-পাশের এলাকা হতে লোকজন এগিয়ে আসলে ডাকাত দলের সদস্যরা ককটেল বিষ্ফোরন করে জনমনে আতংক সৃষ্টি করে মটর সাইকেলযোগে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে গুরুতর আহত অর্জুন’কে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী এবং সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে জানা যায় যে, ডাকাত দলের ০২টি মোটর সাইকেল রং লাল ও কালো। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের ছেলে গত ১ নভেম্বর ফেনী জেলার সোনাগাজী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্যঃ থানা পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মোঃ জাফর হাওলাদর (২৮) কে সনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং ৩০ ডিসেম্বর রাত ০১ঃ৩০ টায় ডাকাতি সংঘটিতকালে ব্যবহৃত কালো মটর সাইকেলসহ তাকে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। আসামীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেফতারের জন্য সোনগাজী থানা পুলিশ র্যাব এর নিকট সহায়তায় আসামিদের আটক করে। গ্রেফতারকালে ধৃত আসামী মোঃ রাকিব এর নিকট হতে ডাকাতি সংঘটিতকালে ব্যবহৃত লাল রংয়ের পালসার মটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে গ্রেফতারকৃত আসামীরা বর্ণিত ডাকাতি ও খুনের সাথে জড়িত থাকার কথা অকপটে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Devoloped By WOOHOSTBD