মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয় কতৃক শিক্ষার উন্নয়ন ও অবকাঠামোগত সহায়তা কর্মসূচি
Muntu Rahman
/ ১৭৮
Time View
Update :
শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪
Share
হাফিজুর রহমান হাফিজ ঃ
জাহেদী পরিবার মনে করে সমাজের সবার যথাযথ শিক্ষা ও কর্ম করার অধিকার রয়েছে। সেই বিশ্বাসেই বিশেষ চাহিদা সম্পার ওদের সামাজিক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করে তাদেরকে সমাজের ধারায় ফিরিয়ে আনার জন্য মুসা মিয়া বুদ্ধি বিকাশ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই জাহেদী পরিবার বিদ্যালয়টিতে সর্বাত্মক পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। বর্তমানে শহরের কবি গোলাম মোস্তফা সড়কে মোঃ নাসের শাহরিয়ার জাহেদী (মহুল) এর মালিকাধীন ৩ তলা বিশিষ্ট একটি ভবনে অত্যাধুনিক আইসিটি ল্যাব, সমৃদ্ধ ফিজিওথেরাপি ল্যাব, স্পীচ ও অকুপেশনাল থেরাপি ল্যাব, সেন্সরি ল্যাব সহ শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধি, মানসিক ও শারীরিক বিকাশে সহায়ক বিভিন্ন সুযোগ সুবিধায় সুসজ্জিত উক্ত বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বিদ্যালয়টিতে ৩,৫০০ এর অধিক বিশেষ প্রশিক্ষণ যন্ত্রপাতি ও শিখন উপকরণ সহায়তা করা হয়েছে। তিনি বিদ্যালয়টির নামে ১৫ শতক জমি দান করেন এবং উক্ত জমিতে একটি প্রতিবন্ধী বান্ধব অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করে দেয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে এর ভিত্তিপ্রপ্রস্তর স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। বিদ্যালয়ের যাবতীয় ব্যয়ভার বহন করা ছাড়াও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি স্কুল পিকআপ ভ্যান প্রদান করা হয়েছে।
বিদ্যালয়টির ২০ জন সু-প্রশিক্ষিত শিক্ষক ও কর্মকর্তার নিয়মিত মাসিক বেতন ভাতা প্রদান করছে জাহেদী পরিবার। এছাড়াও শিক্ষকদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। বিদ্যালয়টি বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলার প্রতিবন্ধী শিশুদের অভিভাবকদের জন্য বিশেষ আশার প্রদীপ। বিশেষ শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষার আশ্রয়স্থল হিসেবে বিবেচিত বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১০৪ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু শিক্ষা গ্রহণ করছে। বিদ্যালয়টি জাতীয় পর্যায়েও সুনাম অর্জন করেছে। বিদ্যালয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষার ফলে একজন শিশু চিত্রাঙ্কণে প্রধানমন্ত্রীর নিকট হতে জাতীয়ভাবে পুরষ্কার, ২ জন শিক্ষার্থী জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত স্পেশাল অলিম্পিকে স্বর্ণপদক ও ব্রোঞ্জ পদক লাভ করার গৌরব অর্জন করে। যা ঝিনাইদহবাসীর জন্য এক অনন্য গৌরব বয়ে এনেছে।