মধ্যনগর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল আহম্মেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব। গত ২০২১-২২ অর্থ বছরের এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি না হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সকল বরাদ্দ স্থগিত রাখাসহ সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল আহম্মেদ ও সাবেক ইউপি সচিব রাশেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গত ২৭ আগস্ট স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ সাঈদ-উর-রহমান জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালককে এ নির্দেশনা দেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়িত লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট (এলজিএসপি-৩) এর আওতায় বেসরকারী সিএ ফার্ম এর ২০২১-২২ অর্থ বছরের অডিট প্রতিবেদনে বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের ৩ লাখ ১০ হাজার টাকার আপত্তি উত্থাপিত হয়। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল আহম্মেদ অডিট আপত্তির বিষয়ে জবাব দাখিল করে আপত্তি নিষ্পত্তির অনুরোধ করেন।পরে ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব, অডিট ফার্ম ও অডিট রিভিউ ফার্ম এর প্রতিনিধি, সিনিয়র অডিট স্পেশালিস্ট (সাবেক) এলজিএসপি-৩ ও স্থানীয় সরকার বিভাগ এর যুগ্ম সচিব (উপ অধিশাখা) এর উপস্থিতিতে শুনানী হয়। শুনানীতে অডিট আপত্তি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও গত ৩ আগস্ট ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোনো জবাব দেননি। ফলে উত্থাপিত অডিট নিষ্পত্তি না হওয়ায় বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে সকল বরাদ্দ (উন্নয়ন তহবিল, ১%), ভূমি হস্তান্তর করসহ অন্যান্য বরাদ্দ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং আপত্তিতে জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল আহমদ ও ইউপি সচিব রাসেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোহাম্মদ সাঈদ-উর-রহমান জেলা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালককে এ নির্দেশনা দেন।
সাবেক ইউপি সচিব রাসেন্দ্র সরকার বলেন, রাসেল আহম্মেদের সময়ে ওই বরাদ্দের কাজ হয়েছে। এই কাজে আমার কোন স্বাক্ষর প্রয়োজন হয় না।চেয়ারম্যান কমিটির মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করে
বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান রাসেল আহম্মেদ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিবেদন পাঠাতে দেরি করায় ও আমার মা অসুস্থ থাকায় আপিলের সময় থাকতে পারিনি। তাই এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো আমাদের (চেয়ারম্যান) রুটিন ওয়ার্কের মত। সাবেক চেয়ারম্যানের কিছু বরাদ্দ আমার সময়ে বাস্তবায়ন হয়েছে। এটি তেমন কিছু না।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, আমি প্রতিবেদন দেওয়ার আগেই মিনিস্ট্রি থেকে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
Devoloped By WOOHOSTBD