নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি।
নওগাঁর মান্দায় সিএনজি চালক ও বাস মালিক সমিতির মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে মান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় ২টি বাস ও ১৫ টি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার সাবাই হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে ফেরিঘাট নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে বাস ও সিনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এব্যাপারে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিউজ্জামান বলেন, প্রশাসন ও মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে নিষেধ করা সত্ত্বেও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালকেরা নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে জোর করে গাড়ি চালিয়ে আসতেছিলো এবং এবিষয়টিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। বেলা দুইটার দিকে সাবাইহাট এলাকায় সিএনজি চালক ও মালিকেরা সংঘবদ্ধ হয়ে দুটি বাস ভাঙচুর করে। এ সময় বাস দুটির চালক ও তার সহকারীকে মারধর করা হয়। পরে বাসশ্রমিকেরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর জন্য মান্দার ফেরিঘাট এলাকায় রাস্তার ওপর আড়াআড়িভাবে বাস রেখে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।
এবিষয়ে সিএনজি-মালিক শ্রমিক সমিতি সাবাইহাট শাখার সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, নওগাঁ বাস মালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন সড়কের মোহাম্মদপুর সাইনবোর্ড এলাকায় অবৈধভাবে নতুন চেকপোস্ট বসিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে। আজকে বিকেলে নতুন চেকপোষ্টে একটি অটোরিকশার চালককে থামিয়ে মারধর করে মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের লোকজন। পরে উপজেলার ফেরিঘাট এলাকায় বাসশ্রমিকেরা সিএনজি মালিক ও চালকের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ১৫-১৬টি অটোরিকশা ভাঙচুর করা হয় এবং এ হামলায় অন্তত ১৫ জন অটোরিকশা শ্রমিক আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশ মোতায়েন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ চলছে। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
Devoloped By WOOHOSTBD