দৌলতপুর প্রতিনিধি
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার রেফায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদে সালিশি বৈঠকে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষে তিন জন আহত হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী বলেন, রেফায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদ, চেয়ারম্যান এর পি এস দারা পরিচালিত হওয়ার কারনে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আজ সোমবার দুপুরে সালিশি বৈঠকে হাতাহাতি হয় এই হাতাহাতি কে কেন্দ্র করে পরিষদের সামনে সংঘর্ষ বাঁধে ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এই ঘটনার সঠিক তদন্ত চাই।
এ বিষয় ভেড়ামারা গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ বলেন, কিছু দিন আগে আমার স্ত্রী কে তার বাবা ও ভাইয়েরা আমার বাড়ি থেকে নিয়ে এসেছে। এসে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে রেফায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দিয়েছে। আজ দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদে বসার জন্য চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বাবলু আমাদের ডাকেন। আমরা আসার পরে সালিশি বৈঠকে আমার স্ত্রীর বাবা, ভাই ও স্থানীয় লোকজন দিয়ে হামলা করার চেষ্টা করে। পরে পরিষদের গেটে থেকে আমাদের উপর হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে।এ সময় আমার পিতা ও চাচাতো ভাই আহত হয়েছে। এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগকারী সংগ্রামপুর গ্রামের মৃত সায়ের সরদারের ছেলে রশিদ সরদার বলেন, আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছে ৬ বছর আগে ভেড়ামার গ্রামের খাইরুল ইসলামের ছেলে ফয়সাল আহমেদ এর সাথে। বিয়ের পর থেকে ফয়সাল আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে। কিছুদিন আগে আমার মেয়েকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে ফয়সাল। পরে তার পরিবারের লোকজন দৌলতপুর হাসপাতালে আমার মেয়েকে ভর্তি করে। সেখান থেকে আমার মেয়েকে নিয়ে এসে আমরা পরিষদে একটি অভিযোগ দিয়েছি।সালিশি বৈঠকে কথা কাটাকাটি হয়েছে তবে আমরা তাদের উপরে হামলা চালাইনি। কে বা কাহারা তাদের উপর হামলা চালিয়েছে তা আমরা বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে রেফায়েতপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বাবলু বলেন, পরিষদের ভিতরে কোন মারামারি হয় নাই। সমাধান না হওয়ায় আমি বসার জন্য তারিখ বদলিয়ে দিয়েছি। তারা রাস্তায় গিয়ে মারামারি করেছে এ বিষয়ে আমার কোন সম্পৃক্ততা নাই।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ হয়েছে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Devoloped By WOOHOSTBD