কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ৮ জন। মামলার আসামি হতে চলেছে দৌলতপুর উপজেলা ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এমনকি বিএনপি নেতারাও।
অস্ত্রসহ চাঁদাবাজির সময় ধাওয়া ও হামলার মুখে পড়েছে ছাত্রলীগের তিনকর্মী সহ কয়েকজনের একটি সংঘবদ্ধ দল। ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর দৌলতপুর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয় সহ বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে হয়ে আসা দুর্নীতি-চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়ার পর কিছু মানুষ সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয় সহ ও-ই সমস্ত দপ্তরে পুনরায় চাঁদাবাজি করতে চাইলে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের স্থানীয় নেতারা তাতে বাঁধা দেয়। কয়েকজন দলীল লেখকের কাছে থেকে ইতোমধ্যে প্রাণের ভয় দেখিয়ে টাকাও নিয়েছে অভিযুক্তরা।
অভিযোগ উঠেছে ৪ সেপ্টেম্বর সকালে দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আকবর আলীর ছেলে দৌলতপুর উপজেলা যুবদল নেতা কর্নেলের নেতৃত্বে তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে শিতলাইপাড়ার রতন, চকদৌলতপুরের আকবর হোসেনের ছেলে আসাদ, মর্জেল, রিমন এবং ছাত্রলীগের ফয়সাল, নোবেল, হাবিব সহ আরও ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল অস্ত্রস্বস্ত্র নিয়ে উপজেলা পরিষদ এলাকায় অবস্থান নেয় এবং রেজিস্ট্রার অফিস থেকে তাদের দলীল প্রতি চাঁদা দিতে হবে দাবি করে। পরে বয়জ্যেষ্ঠ বিএনপি নেতা ও স্থানীয় ছাত্রজনতা তাদের বিশৃঙ্খলা না করে চলে যেতে বললে তারা হাতুড়ি, রড, রামদা পিস্তল সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র বের করে। এসময় উপস্থিত থাকা স্থানীয় ছাত্রজনতা ও বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা এবং এলাকাবাসী তাদের প্রতিহত করে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আহত হয়েছে অন্তত ৮ জন।
এ বিষয়ে বুধবার রাতে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উপজেলা সদর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব দাবি জানায় বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতারা।
এদিকে কর্ণেলের দাবি, বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ঘুষ-দুর্নীতির বিপক্ষে থাকার কারনে ।
স্থানীয় এলাকাবাসীর অনেকেই বলছেন, বহিরাগত সন্ত্রাসীরা অস্ত্র প্রদর্শন করলে উপস্থিত সবাই তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এসময় নানা ভাবে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানায় দু’টি পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
Devoloped By WOOHOSTBD