–ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা
উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য রিং ঝুলা থেকে শুরু করে আমরা কত কি না করে থাকি।
প্রাণায়াম যোগ এবং খাদ্য ভাস মেনে চললে বেশ ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।
শরীর ফিট তো আপনি হিট! যোগ করুন চির সবুজ থাকুন। ১০০ বছর বৃদ্ধ হতে না চাইলে যোগ করুন। যে কাজ মেডিকেল সায়েন্স দ্বারা হয়না তা যোগ দ্বারা হয়।
বেড়ে উঠার জন্য যোগের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাদ্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা কমবেশি আমরা সবাই জানি.কিন্তু খুব কম মায়েরাই হয়তো জানি যে পুষ্টিকর খাদ্য শুধু বাচ্চার ওজন বৃদ্ধির জন্যই নয়,বাচ্চার উচ্চতা বৃদ্ধিতেও পরোক্ষভাবে সহায়তা করে থাকে. যদিও শিশুর উচ্চতা কেমন হবে তার ৮০ % নির্ভর করে তার জীন ( মানে বংশগত ভাবে পাওয়া ), এবং ২০% শারীরিক কার্যকলাপ, শারীরিক সুস্থ্যতা এবং পুষ্টিকর খাদ্যের উপর.পুষ্টিসম্পূর্ণ খাবার মানুষকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে,ফলে শিশুটির শারীরিক পরিবর্তন হবার সময় তার যে অতিরিক্ত ক্যালোরি এবং শক্তির প্রয়োজন তা সে সহজেই মিটাতে পারে। ঠিক তেমনি প্রাণায়াম যোগ এর সাথে খাদ্যাভাস মেনে চললে উচ্চতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। যেমন –
১। ডিম
উচ্চতা বৃদ্ধিতে প্রোটিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর প্রোটিনের অন্যতম উৎস হলো ডিম। প্রতিদিন একটি ডিম খাদ্যতালিকায় রাখুন। তা সিদ্ধ হতে পারে আবার ওমলেট করেও খাওয়াতে পারেন।
২। দুধ
দুধে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড় মজবুত করতে ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ দিন আপনার শিশুকে। আপনার শিশুটি যদি ২ বছরের নিচে হয় তবে ফুল ক্রিম দুধ খাওয়াবেন। দুধে থাকা ফ্যাট তার শরীর এবং মস্তিষ্কের জন্য বেশ উপকারী। এছাড়া দুধের তৈরি খাবারও দিতে পারেন শিশুকে।
৩। সয়াবিন
শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধিতে সয়াবিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। যা শিশুর হাড় এবং পেশি মজবুত করে তোলে। সয়াবিন সবজির মত করে রান্না করে শিশুকে খাওয়াতে পারেন।
৪। ওটমিল
প্রচুর পরিমাণ প্রোটিনের উৎস কিন্তু লো-ফ্যাটযুক্ত এই খাবারটি শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন স্বাস্থ্যকর ওটমিল।
৫। মুরগির মাংস
মুরগির মাংস প্রায় সব শিশুরা পছন্দ করে। প্রোটিন সমৃদ্ধ এই খাবারটি তাদের উচ্চতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। তবে প্রতিদিন মুরগির মাংস খাওয়ার অভ্যাস তৈরি না করাই ভাল।
৬। মাছ
মাছ খাবারটি শিশুরা পছন্দ না করলেও ভিটামিন ডি, প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হলো মাছ। তবে সামুদ্রিক মাছ যেমন টুনা, স্যামন, সার্ডিন ইত্যাদি মাছ বেশি উপকারী।
৭। পালং শাক
পালং শাককে সুপার সবজি বলা হয়ে থাকে। এটি আপনার শিশুর হাড় মজবুত করার পাশাপাশি আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে থাকে। আয়রন এবং ক্যালসিয়াম শিশুকে লম্বা করতে সাহায্য করে।
৮। ফল
ফল স্বাস্থ্যের অনেক উপকারী। ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ ফল যেমন মিষ্টি আলু, আম, পেঁপে, টমেটো, কলা, পিচ ফল ইত্যাদি উচ্চতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। এই ফলগুলো নিয়মিত আপনার শিশুর খাদ্যতালিকায় রাখুন।
৯। টকদই
ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অন্যতম উৎস হলো টকদই। আপনার শিশ টকদই খেতে পছন্দ না করলে ফ্রুট সালাদ কিংবা শরবত তৈরি করে দিতে পারেন। এছাড়া টকদইয়ের পরিবর্তে চিজ, পনির দিতে পারেন।
১০। গাজর
দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে গাজরের ভূমিকা সবার জানা। গাজর রান্না করে খাওয়ার চেয়ে কাঁচা খাওয়া বেশ উপকারী। কাঁচা গাজর সালাদ করে আপনার শিশুকে খাওয়াতে পারেন। এমনকি শিশুকে গাজরের রস দিতে পারেন।
যোগের মাধ্যমে অসাধ্য কে সাধন করা যায়। আসুন আমরা নিজে যোগ করি এবং সকল কে যোগের প্রতি উৎসাহিত করি
এছাড়াও চক্রাসন, সর্বাঙ্গাসন, হলাসন, শীর্ষআসন, সাঁতার কাটা ইত্যাদি।
নানা রোগমুক্তি সম্পর্কিত যোগ, প্রাণায়াম এবং খাদ্যভাস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ০১৭১২-২৭৬৭৫৩
Devoloped By WOOHOSTBD