সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে এ বছর ৫১টি পূজামণ্ডপে চলছে উৎসবমুখর পূজা উদযাপন। রঙিন আলোকসজ্জা, ঢাক-ঢোলের বাদ্য আর ভক্ত-দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে প্রতিটি মণ্ডপেই বিরাজ করছে আনন্দঘন পরিবেশ। সর্বত্রই দেখা দিয়েছে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক সৌহার্দ্যের এক অনন্য আবহ।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে একাধিক পূজামণ্ডপে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, তাহিরপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এবং ছাত্রনেতা হিসেবে সুপরিচিত কামরুজ্জামান কামরুল। তিনি বসুন্ধরা সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ, মিলন যুব সংঘ, শ্রীশ্রী জগন্নাথ জিউর আখড়া (সাচনা বাজার), বিষ্ণুপুর, ছয়হারা, গঙ্গাধরপুর ও রাজাপুরসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন।
এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুর রহমানসহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে তারেক রহমান দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। তিনি পূজামণ্ডপে গিয়ে সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধ ও শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে এবং সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তায় পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “সংখ্যালঘু বলে কিছু নেই। আমরা সবাই এ দেশের নাগরিক। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে আমরা সবাই ভাই।”
পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে কামরুজ্জামান কামরুল বলেন,
“আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নির্বাচন। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমি মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করি। সুনামগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হলেও, যিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন, তাঁর পক্ষেই আমি কাজ করব।”
প্রতিটি মণ্ডপে আয়োজকরা বিএনপি নেতাদের স্বাগত জানান এবং এ উদ্যোগকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেন। তাঁরা কামরুজ্জামান কামরুলের রাজনৈতিক অঙ্গীকারের প্রশংসা করেন এবং তাঁর সফলতা কামনা করে দেবী দুর্গার কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন।
স্থানীয়রা মনে করেন, রাজনৈতিক নেতাদের এ ধরনের উপস্থিতি কেবল শুভেচ্ছা বিনিময় নয়, বরং ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শান্তি ও ভ্রাতৃত্ববোধের প্রতীক। জামালগঞ্জে এবারের দুর্গোৎসব তাই শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং সামাজিক সম্প্রীতির এক উৎসবে রূপ নিয়েছে। আর সেই সম্প্রীতির বার্তা মাঠে ছড়িয়ে দিচ্ছেন কামরুজ্জামান কামরুল ও তাঁর সহকর্মীরা।
৩০.০৯.২০২৫
Devoloped By WOOHOSTBD