যশোর সদর উপজেলার ১০ নং চাঁচড়া ইউনিয়নের রূপদিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে সদর সহকারী জজ আদালতে মামলা হয়েছে। সীমাহীন দুর্নীতি এবং রাতের আঁধারে পরিচালনা কমিটি গঠনের অভিযোগ এনে মামলাটি করেছেন রহমত আলী মোড়লের ছেলে বাবলু মোড়ল। মামলা নম্বর ৪৬৭/২০২৫। মামলার আসামি মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সালাম। বিজ্ঞ বিচারক আসামিদের শোকজ করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, ১) মোঃ আব্দুস সালাম, সুপার, রূপদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, যশোর সদর যশোর, কোড-১৪৪০৭, মাদ্রাসা ইন নং- ১১৬০৮৯। ২) মোঃ জাকির হোসেন, পিতা- নুর উদ্দীন মোড়ল, সভাপতি এডহক কমিটি রূপদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, রূপদিয়া, সদর যশোর। ৩) আলাউদ্দিন, পিতা- আফসার মোড়ল, অভিভাবক সদস্য, রূপদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, রূপদিয়া, সদর যশোর। 8) অজ্ঞাত, পিতা- অজ্ঞাত, রূপদিয়া দাখিল মাদ্রাসা, রূপদিয়া, সদর যশোর। ৫) এস এম সাইফুল আলম, প্রিজাইডিং অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, যশোর সদর, যশোর। ৬) উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সদর, যশোর। ৭) জেলা প্রশাসক, যশোর। ৮) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড, ঢাকা।
একটি পক্ষের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে সার্বিক নির্বাচন প্রক্রিয়া গোপনে চূড়ান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত এই মাদ্রাসা সুপার। এ বিষয়ে সু নিদৃষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
বাদি বাবলু মোড়লসহ রূপদিয়া গ্রামবাসী বলেন, তড়িঘড়ি করে মাদ্রাসা সুপার অতি ক্ষুদ্র চোখে না পড়া প্রক্রিয়ায় পত্রিকা বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। মাত্র তিনদিনের মধ্যে ভোটের তফশীল ঘোষণা করা হয়। কার্যত অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার রূপদিয়ার নূর উদ্দীন মোড়লের ছেলে জাকির হোসেনকে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি করতে অপচেষ্টা করছেন। অথচ নানা দোষে অভিযুক্ত এই ব্যাক্তিটি।
মাদ্রাসার নির্বাচন কিন্ত কোন মাইকিং নেই। নোটিস বোর্ডে নোটিস টাঙানো হয়নি। নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাছাড়া ২ অক্টবর গ্রামের কাগজে তৃতীয় পাতায় ছোট্ট করে একটি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। ৭, ৮, ৯ অক্টবর মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ ও জমা করার সময়। যা কারো চোখে পড়েনি। মনোনয়ন পত্র কিনতে গেলে মাদ্রাসা সুপার বলেন মনোনয়ন পত্র বিক্রি হয়ে গেছে। এরপর গোপন ভোট প্রক্রিয়ায় ১৫ অক্টবর একটি কমিটি গঠন দেখানো হচ্ছে।
গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, মাদ্রাসার দেড় বিঘা জমির আয় ৩০ বছর ধরে একাই হজম করছেন মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সালাম। কোন দৃশ্যত উন্নয়ন নেই এ কারণে। অথচ সেই ৩০ বছর ধরে নানা উন্নয়ন ফিরিস্তি বর্ণনা করে সুধী জন গ্রামবাসীর কাছ থেকে অর্থ গ্রহণ করছেন মাদ্রাসা সুপার।
অভিযোগ রয়েছে, একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে ৪২ হাজার টাকা নিয়েও তাকে দাতা সদস্য করা হয়নি। এছাড়া দাতা সদস্য মৃত ইসমাইল মোড়ল, ফাতেমা ও নূর আলী ব্যাপারীর পরিবারের কাউকে ভোটার করা হয়নি।
নির্বাচন দিতে হলে সাধারণ সভা করতে হবে আদতে সভা হয়নি। আর নেই নির্বাচন পরিচালনা কমিটি। কিভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে কারো বোধগম্য নয়। ভোটার আর গ্রামবাসীকে অন্ধকারে রেখে অপকর্ম করছে রূপদিয়া দাখিল মাদ্রাসা সুপার আব্দুস সালাম। তার সাথে আছে গোপনে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে ইচ্ছুক জাকির হোসেন।
Devoloped By WOOHOSTBD