মোঃমিজানুর রহমান মিলন
প্রতিবেদক গাইবান্ধা।
গাইবান্ধা পৌরসভার নুরুল হক মডার্ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে কোটি টাকার অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ বাণিজ্য, নারী কেলেঙ্কারি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা বর্হিভূত কর্মকাণ্ডের একাধিক অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে রংপুর অঞ্চলের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। অভিযোগপত্রে স্থানীয় বেশ কয়েকজন নাগরিক স্বাক্ষর করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, রবিউল ইসলাম ২০১০ সালে দাড়িয়াপুর আমান উল্যা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদ থেকে নুরুল হক মডার্ন উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। অভিযোগকারীদের দাবি, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রভাব ও অর্থের বিনিময়ে তিনি এ পদে নিয়োগ পান, যা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নীতিমালা বর্হিভূত।
অভিযোগে আরও বলা হয়, বিদ্যালয়ের জমি ও মার্কেট থেকে প্রাপ্ত আয়, পুরনো ভবনের নির্মাণসামগ্রী বিক্রির টাকা আত্মসাৎসহ ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন প্রায় কোটি টাকা।
অনিয়মের প্রতিবাদ করায় সিনিয়র সহকারী শিক্ষিকা কাজী নিশাত পারভীনকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও জোরপূর্বক অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করানো হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গেও তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।
আরও জানা যায়, ব্যক্তিগত ঘনিষ্ঠতার কারণে সহকারী শিক্ষিকা মোছা: মনিরা খাতুনকে নিয়মবহির্ভূতভাবে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি দিয়েছেন তিনি। বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে তার দায়িত্বহীনতার কারণে ফলাফলও নিম্নগামী হয়েছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, শিক্ষাঙ্গন যেন দুর্নীতি ও অনৈতিকতার আখড়া না হয় এজন্য দ্রুত তদন্ত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা জরুরি।
রংপুর আঞ্চলিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগের কপি তারা পেয়েছেন। বিষয়টি যাচাইয়ে শিগগিরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
Devoloped By WOOHOSTBD