আজমিরীগঞ্জ পৌর এলাকার নগর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার (৬০) — এক সময়ের ক্ষমতাসীন দলের নেতা, বর্তমানে জনসাধারণের কাছে আতঙ্কের নাম। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, তিনি দীর্ঘদিন ধরে দাঙ্গা, জমি দখল, মিথ্যা মামলা এবং চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত।
জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম এর পিতা এরাজত মিয়া। তিনি আজমিরীগঞ্জ পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে— দলীয় পদ ব্যবহার করে বিগত সরকার আমলে নিরীহ মানুষের জমি দখল, ভয়ভীতি প্রদর্শন, এবং এলাকায় দাঙ্গা উসকে দেওয়ার মতো অসংখ্য ঘটনা ঘটিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানান,৫ আগস্ট ২০২৪* সালে সরকারের পতনের পর এই আলোচিত ব্যক্তিটি গা-ঢাকা দেন। দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর তিনি সম্প্রতি আবারও জনসম্মুখে হাজির হয়ে পুরনো প্রভাব খাটাতে শুরু করেন এবং তথাকথিত “আওয়ামী পুনর্বাসন কার্যক্রমে” লিপ্ত হন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে ভীতির সৃষ্টি হয়েছে।
পরিবারসহ বিতর্কের কেন্দ্রে জাহাঙ্গীর আলমের দুই ছেলে — *সাদ্দাম* ও *সাব্বির* — দুজনই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
– সাদ্দাম, উপজেলা ছাত্রলীগের *সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক*
– সাব্বির, উপজেলা ছাত্রলীগের *বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক*
তাদের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে, এবং স্থানীয় সূত্র মতে, উভয়েই বর্তমানে *পলাতক*।
এলাকাবাসীর অভিযোগ,তারা বাবার ছত্রছায়ায় থেকেই এলাকায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি চালিয়ে যাচ্ছিল।
জনমনে আতঙ্ক, প্রশাসনের নীরবতা
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, বারবার প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাদের আশঙ্কা, জাহাঙ্গীর মেম্বার পুনরায় প্রভাব খাটিয়ে পরিস্থিতিকে সহিংস ও অস্থিতিশীল করে তুলতে পারেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় একাধিক সচেতন নাগরিক বলেন, “অতীতে তার কর্মকাণ্ডে বহু পরিবার এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এখন সে আবার শুরু করেছে, আমরা আতঙ্কে আছি।”
এলাকাবাসী প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
Devoloped By WOOHOSTBD