হালচাল নিউজ ডেস্ক –
একজন আদর্শ স্ত্রীর কর্তব্য হ’ল স্বামীর সাথে ভালো ব্যবহার করা এবং তার আনুগত্য করা।
জনৈক মহিলা রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে কথা বলা সম্পন্ন করলে তিনি তাকে বললেন, হে অমুক! তোমার স্বামী আছে কি? সে বলল, হ্যাঁ আছে। তিনি বললেন, তুমি তার জন্য কেমন? সে বলল, আমি তার আনুগত্য ও খেদমতে কমতি করি না। তবে যেটা করতে অসমর্থ হই তা ব্যতীত।
রাসূল (ছাঃ) তখন বললেন, তুমি খেয়াল রেখ যে, তুমি তার হৃদয়ের কোথায় অবস্থান করছ? কেননা সে তোমার জান্নাত ও জাহান্নাম। (সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৬১২, সনদ ছহীহ)।
অন্য হাদীছে বলা হয়েছে, স্বামীর অবাধ্যতার কারণে মহিলারা বেশী বেশী জাহান্নামে যাবে। (সহীহ বুখারী হা/১০৫২; মিশকাত হা/১৪৮২)।
স্বামীর হক্ব আদায় করা জন্য অতিব গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। মুমিন মুসলমান স্বামীর আনুগত্য ও হক্ব আদায় করা মুমিনা নারীর জন্য আবশ্যক হয়ে যায়। স্ত্রী তার স্বামীর হক্ব আদায়ের ফলে স্বামীর অর্ধেক দ্বীনও পূর্ণ করে থাকে। আল্লাহর পরে সিজদা করার অনুমতি থাকলে স্বামীকে সিজদা করার অনুমতি দেয়া হতো।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যদি কোন ব্যক্তিকে আল্লাহ ছাড়া অপর কাউকে সিজদা করার নির্দেশ দিতাম, তাহলে স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সিজদা করতে।
সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! স্ত্রী তার স্বামীর হক আদায় না করা পর্যন্ত তার প্রভুর হক আদায় করতে সক্ষম হবে না। (ইবনু মাজাহ হা/১৮৫৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৫২৯৫)।
আব্দুল্লাহ্ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে দীর্ঘ রুকূ‘, ক্বিয়াম ও সিজদা সহ সূর্য গ্রহণের ছালাত আদায় করি এবং ছালাত শেষে লোকেরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমরা দেখলাম, আপনি নিজের জায়গা হ’তে কি যেন ধরছেন, আবার দেখলাম, আপনি যেন পিছনে সরে এলেন।
জওয়াবে তিনি বলেন, ‘আমি জান্নাত দেখেছিলাম এবং এক গুচ্ছ আঙ্গুরের প্রতি হাত বাড়িয়েছিলাম। আমি তা পেয়ে গেলে দুনিয়াতে থাকা পর্যন্ত অবশ্যই তোমরা তা খেতে পারতে। অতঃপর আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়, আমি আজকের মত ভয়াবহ দৃশ্য কখনো দেখিনি। সেখানে দেখলাম, জাহান্নামের অধিকাংশ বাসিন্দা নারী’।
লোকেরা জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! কী কারণে অধিকাংশ নারী? তিনি বলেন, ‘তাদের কুফরীর কারণে’। জিজ্ঞেস করা হ’ল, তারা কি আল্লাহর সাথে কুফরী করে? তিনি বলেন, ‘তারা স্বামীর অবাধ্য থাকে এবং তাদের ইহসানকে অস্বীকার করে।
তুমি যদি তাদের কারো প্রতি সারা জীবন সদাচরণ কর, অতঃপর সে তোমার হতে সামান্য ক্রুটি পায়, তাহলে বলে ফেলে, তোমার কাছ থেকে কখনো ভাল ব্যবহার পেলাম না’।
(সহীহ বুখারী হা/১০৫২; সহীহ মুসলিম হা/৯০৭)
স্বামীকে কষ্ট দিলে জান্নাতের হুররা স্ত্রীর প্রতি ভৎর্সনা করে থাকে। মু‘আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, দুনিয়াতে কোন স্ত্রীলোক যখনই তার স্বামীকে কষ্ট দেয় তখনই (জান্নাতের) বিস্তৃত চক্ষুবিশিষ্ট হুরদের মধ্যে তার স্ত্রী বলে,
হে অভাগিনী! তাকে কষ্ট দিও না। তোমাকে আল্লাহ তা‘আলা যেন ধ্বংস করে দেন! তোমার নিকট তো তিনি কিছু সময়ের মেহমান মাত্র। শীঘ্রই তোমার হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে তিনি আমাদের নিকট চলে আসবেন’। (তিরমিযী হা/১১৭৪;; ছহীহুল জামে‘ হা/৭১৯২)
উত্তম নারী সেই, যার দিকে তাকিয়ে স্বামী খুশী হয়।
রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’ল,‘কোন নারী উত্তম?জওয়াবে রাসূল (ছাঃ) বললেন, যখন স্বামী তার দিকে তাকায়, তখন সে স্বামীকে আনন্দিত করে’। (সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৮৩৮; মিশকাত হা/৩২২৭)
Devoloped By WOOHOSTBD