সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক প্রকল্পের সম্পন্ন করা কাজের দুইলাখ সত্তর হাজার টাকা আত্মসাত করেছেন মর্মে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে ইউপি সদস্যর লিখিত অভিযোগ দায়ের।
মঙ্গলবার বিকেলে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে এই অভিযোগটি দায়ের করেন পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,২০২২-২৩ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পাথারিয়া ইউনিয়নের চাল্লানি হাওরে প্রায় সাড়ে ২৩ লাখ টাকায় ফসল রক্ষা বাধেঁর কাজ পেয়ে ইউপি সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান তিনি নিজে পিআইসি কমিটির সভাপতি হিসেবে কাজটি সম্পন্ন করলে ও গত প্রায় তিনমাস পূর্বে পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম শহীদ অভিযোগকারী ইউপি সদস্য ও কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমানের নিকট দুই লাখ টাকা চাদাঁ দাবি করেন তিনি চাদাঁ দিতে অস্বীকৃতি জানান। ঐ অর্থবছরেই ইউনিয়নের উন্নয়ন সহায়তা তহবিলের আওতায় গৃহীত দক্ষিণ গাজীনগর এলজিএসপি রাস্তা হতে মৌ মোস্তাক আহমদের বাড়ির সামনা পর্যন্ত আরেকটি প্রকল্প রাস্তা সিসি দ্বারা পাকাকরণের জন্য দুই লাখ ২০ হাজার টাকার কাজ পাওয়ার পর চেয়ারম্যান আমাকে বলেন আমার নিজের পকেট হতে টাকা খরচ করে কাজটা সম্পন্ন করার জন্য এবং পরে চেয়ারম্যান বিলের টাকা উত্তোলন করে আমাকে টাকা দিবেন বলে আশ্বস্থ করেন। আমি সরল বিশ্বাসে চেয়ারম্যানের কথায় আশ্বস্থ হয়ে আমার পকেট হতে টাকা খরচ করে রাস্তা সিসি ঢালাইয়ের পাকাকরণের কাজটি সম্পন্ন করি এবং আমি চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম শহীদের নিকট কাজের বিলে স্বাক্ষর করার পর চেয়ারম্যানের নিকট জমা দেয়ার পর চেয়ারম্যান সম্পূর্ণ টাকা উত্তোলন করে সবগুলো টাকা আত্মসাত করেন বলে তিনি অভিযোগপত্রে করেন। এই ইউপি সদস্য কাজের বিলের টাকার জন্য চেয়ারম্যানের নিকট বার বার ধরনা দিলেও টাকা দেই দিচ্ছি বলে চেয়ারম্যান সময় কালক্ষেপন করছেন।
এছাড়া ও ২০২২ সালে কান্দিগাঁও গ্রামের খালে মাটি ভরাটের জন্য আরেকটি কাজের ৫০ হাজার টাকার কাজ পেয়ে তিনি কাজটি নিজের পকেটের টাকা দিয়ে সম্পন্ন করলে ও ঐ বিলের টাকাসহ দুটি প্রকল্পের মোট দুই লাখ সত্তর হাজার টাকা চেয়ারম্যান দু”দফায় উত্তোলন করে আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে তার টাকা উদ্ধারসহ দোষী চেয়ারম্যানের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে অভিযোগকারী পাথারিয়া ইউনিয়নের কান্দিগাঁও গ্রামের মৃত মোঃ হাসিদ আলীর ছেলে ও ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান অভিযোগ দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,চেয়ারম্যান কর্তৃক তিনি তার কাজের বিলের আত্মসাতকৃত দুই লাখ সত্তর হাজার পাওনা টাকা উদ্ধারের পাশাপাশি এই দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
এ ব্যাপারে পাথারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শহীদুল ইসলাম শহীদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা আত্মসাতের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুকান্ত কুমার সাহার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Devoloped By WOOHOSTBD