শনিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় মহাজনপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার জমিতে নারকীয় এ তাণ্ডব চালানো হয়। পেঁপে কলা এবং বাঁধাকপি তসরুফ করায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষক গোলাম মোস্তফা জানান।
জানা গেছে মহজমপুর গ্রামের ছহিতুল্লাহর ছেলে গোলাম মোস্তফা মহজমপুর গ্রামের নীল জাবাদের মাঠে ২ বিঘা জমিতে পেঁপে। ৪ বিঘা জমিতে কলা এবং আড়াই বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন বাঁধা কপি লাগান। কলার জমিতে লাগানো সমস্ত কলারকান্দি পড়েছে, লাগানো পেঁপে গাছগুলোতে পেঁপে ধরা শুরু হয়েছে, ঠিক সেই মুহূর্তে রাতের আঁধারে শত্রুতা করে ২ বিঘা জমির লাগানো প্রায় ৮শ পেঁপে গাছ, ৪ বিঘা জমিতে লাগানো প্রায় ১৬শ কলা গাছের অপরিপক্ক কলার কলারকাঁন্দি এবং আড়াই বিঘা জমির অধিকাংশ বাঁধাকপি কেটে তসরুপ করে ফেলে রেখে যায়। সকালে গোলাম মোস্তফা মাঠে গিয়ে এ দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। খবর পেয়ে গ্রামের মানুষ এই দৃশ্য দেখে হতবাক বনে যান।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কলার জমিতে অসংখ্য অপরিপক্ক কলারকাঁন্দি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। সারি সারি লাগানো পেঁপের গাছ গাছের মাঝখান দিয়ে কাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। গোলাম মোস্তফা জানান দুই বিঘা জমিতে লাগানো প্রায় ৮শ পেঁপে গাছ, ৪ বিঘা জমিতে লাগানো ১৬ শ কলা গাছের কান্দি কেটে তসরুপ করেছে। প্রতিটি কলার কাঁন্দি সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ধরে বিক্রি করার কথা। পাশাপাশি পেঁপে বর্তমানে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রায় দশ লক্ষ টাকার ক্ষতি সম্মুখীন হয়েছি আমি। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে গোলাম মোস্তফা জানান।
Devoloped By WOOHOSTBD