আছানুল হক কুষ্টিয়া দৌলতপুর
কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের জগোনাথ পুর গ্রামে জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ট্রাক ও ঈগল সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৩ জন আহত হয় ৮ জানুয়ারী ।
আহতরা হলেন, মৃত ইয়া নবির ফকির ছেলে তুফান আলী ফোকির , একচাদ মন্ডলের ছেলে হায়দার আলী, আবু বক্কর মন্ডলের ছেলে আসাদুল ইসলাম ।
আহত হওয়ার পর থেকেই মৃত ইয়া নবির ফকিরের ছেলে তুফান আলী ফকির ঢাকা মেডিকেল চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) ভোর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যু বরণের খবর এলাকায় ছুড়িয়ে পড়লে প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়িঘর ভাঙচুর লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে মৃত হুজুর আলী মন্ডলের ছেলে আব্দুল লতিব বলেন, জাতীয় নির্বাচনের পরের দিন সকালে আমরা নবনির্বাচিত এমপির কাছে যাওয়ার সময়, তুফান আলী ফকির, আব্দুর রহিম ফকির সহ তাদের লোকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। সে সময় একাধিক হাত বোমা ও ককটেল নিক্ষেপ করে তারা। তাদের বোমায় তারা নিজেরাই আহত হয়ে বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তুফান আলী ফকির মৃত্যুবরণ করেছে। মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে আমার তিন ছেলের সহ এই এলাকার অধিকাংশ ঘরবাড়িতে, সালাম মেম্বারের নেতৃত্ব ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল দলবদ্ধভাবে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে। এই বর্বরতা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি সে সাথে এ হামলা ভাঙচুর লুটপাটের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে মৃত তুফান আলী ফকিরের ভাই আব্দুর রহিম বলেন, আমার বড় ভাই সহিংসতায় আহত হয়ে ৩৮ দিন চিকিৎসাধীন থেকে আজ ভোর অনুমানের পাঁচটার দিকে ঢাকা মেডিকেলে মৃত্যুবরণ করেছে। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি আমি। এবং আমাদের লোকজন কারোর কোনো বাড়িঘর ভাঙচুর করে নাই এ বিষয়টা সুস্থ তদন্ত চাই আমরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুস সালাম মেম্বার বলেন,আমার নেতৃত্বে কোন বাড়িঘরে ভাঙচুর লুটপাট হয় নাই আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা।
দৌলতপুর থানা অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুর খবর শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আমিও গিয়েছিলাম দুই একটি বাড়ি ঘর ভাঙচুর হয়েছে তদন্ত করে আইনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Devoloped By WOOHOSTBD