ভেড়ামারায় দিন দিন মাদক, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনা বেড়েই চলেছে। দিনে দুপুরে চুরি হচ্ছে কিন্তু চোর ধরাছোঁয়ার বাইরে। সিসি ক্যামেরার ব্যর্থতা নাকি পুলিশ প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতা এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। পুরো ভেড়ামারা জুড়ে চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে। ঘুম থেকে উঠলেই কানে আসে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ইত্যাদি। ভেড়ামারা পৌর শহর এবং চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পুরো সিসি ক্যামেরা দ্বারা ঘেরা। এছাড়াও অনেক ইউনিয়ন ( আংশিক ব্যক্তিগত সিসি) এত সিসি ক্যামেরায় ঘেরা থাকার পরও চুরি, ছিনতাই বেড়েই চলেছে। সিসি ক্যামেরায় চোরদের দেখা যাওয়ার পরও তাদের সঠিকভাবে চেনা দায় বা যথাযথ কর্তৃপক্ষ তাদের কে সনাক্ত বা ধরতে ব্যর্থতার পরিচয় প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন অনেক ভুক্তভোগীরা। জনমনে প্রশ্ন তাহলে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে লাভ কি হলো? একাধিক বাড়িতে চুরি ডাকাতির মত ঘটনা ঘটলেও এখন পর্যন্ত কোন ট্রেস না পাওয়া হতাশা প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। হালিমা বেগম একাডেমি শিক্ষক শাহাজামাল বলেন দিনে দুপুরে আমার বাসার আলমারি ভেঙে টাকা গহনা চুরি হলো থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরও আদৌ কোন সন্ধান পাওয়া গেলো না। ভেড়ামারা সরকারি কলেজ থেকে শুরু করে ভেড়ামারার সর্বত্র চুরি ছিনতাই মাদক বৃদ্ধি পেলেও তাদেরকে ধরার তেমন কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। সিসি ক্যামেরায় চোর কে দেখা গেলেও তাদের কে চিহ্নিত করা বা তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা গ্রহণ করা বা তাদের বিরুদ্ধে ফলপ্রসূ তেমন তৎপর এর নমুনা এখনো আমরা পাইনি। শহরের অসংখ্য জায়গায় প্রকাশ্য মাদক বিক্রি হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন জোরালো পদক্ষেপ এর দৃষ্টান্ত নেই বলে জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় হলে এই চুরি ছিনতাই মাদক ডাকাতির মত ঘটনা নির্মূল করা সম্ভব বলে সচেতন মহলের দাবী।
এলাকার মানুষের শান্তির রক্ষায় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করার জন্য আহবান জানিয়েছেন ভেড়ামারা বাসী।
Devoloped By WOOHOSTBD