বাংলাদেশের কমবেশি প্রতিটা প্রতিষ্ঠানেই রক্ষক প্রায়ই ভক্ষক হয়ে থাকে। এর হাজারো উদাহরণ রয়েছে, বিভিন্ন ঘটনা প্রবাহে। বাংলার প্রবাদবাক্যে এই বাগধারাটি সহজে প্রবেশ করেনি। হয়তো বা এর রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস।
এমনই এক রক্ষক’দ্বয় কতৃক পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ভল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গিছেয়ে। এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে পাবনার সাঁথিয়া থানা পুলিশ একটি ইউনিট।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদেরকে পাবনার সাঁথিয়া থানায় নেওয়া হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার মৃত জান বক্সের ছেলে ও অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, সুজানগর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম এবং বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের মৃত শুশীল চক্রবতীর্র ছেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবতী। এদের মধ্যে সুব্রত টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন।
পাবনার সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে পাঁচজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে আকস্মিক অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসেন। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক অনিয়ম দেখতে পান।
পরে ওই অডিট কর্মকর্তারা সাঁথিয়া থানায় বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই তিনজন কর্মকর্তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পাবনা আঞ্চলিক শাখার উপ-মহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ বাদী হয়ে পাবনার সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ২৬-শে এপ্রিল তাদেরকে পুলিশ হেফাজতে আদালতে পাঠানো হবে। এরপর অর্থ আত্মসাৎ ও অন্যান্য বিষয়ে দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
RUHUL AMIN, DHAKA- 26/04/2024 🇧🇩
Devoloped By WOOHOSTBD