• মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ভেড়ামারায় নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে পরিদর্শন করলেন এমপি কামারুল আরেফিন দৌলতপুরে জমির ভাগ না দিয়ে অন্যের কাছে লিজ দেওয়ার অভিযোগ  দুই বাংলায় যোগ এবং অ্যাকিউপ্রেসার এর জগতে অপর্ণা মিত্র ও ডাঃ মনা’র অবদান অনস্বীকার্য দ্বিতীয় UYSF ইন্ডিয়া ন্যাশনাল ইয়োগা স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ মঞ্চে জ্বলে উঠলো স্বস্তিক অষ্টাঙ্গ একাডেমি নক্ষত্ররা কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এর ৭৭তম জন্মদিন উদযাপন করলো ” জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদ” যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার ৪১ বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন পাবনায় জামায়াতের সেলাই মেশিন বিতরণ নড়াইলে মোটরসাইকেল-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে স্কুলছাত্র নিহত ঈদুল আযহা উপলক্ষে রায়পুরাতে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ…. শিক্ষা কর্মকাণ্ডে প্রশংসিত,রাজশাহী অঞ্চলের উপপরিচালক মাউসির (ডিডি)ডাঃশরমিন ফেরদৌস চৌধুরী।

পাঁচবিবিতে অনাবৃষ্টি জনিত লিচুর ফলন হ্রাস, বাগান মালিকের মাথায় হাত

Muntu Rahman / ৪৪ Time View
Update : রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

দেলোয়ার হোসেন,পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ

অনাবৃষ্টি ও খরার কারনে পাঁচবিবিতে লিচুর ফলন হ্রাস পেয়েছে। চলতি মৌসুমে লিচুর মৌসুমের শুরুতে পাঁচবিবির বাগানগুলোতে প্রচুর পরিমানে লিচুর গুটি এসেছিল বলে জানান বাগান মালিকরা। কিন্তু তীব্র তাপদাহে লিচুর সকল গুটি পড়ে গেছে।
পাঁচবিবি উপজেলার বালিঘাটা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের নির্মল রায়ের এক বিঘা জমিতে ৪৫ টি গাছ রয়েছে। তিনি জানান, এতোগুলো গাছে একটিও লিচু ধরে নাই। বাগজানা ইউনিয়নের কুটুহারা গ্রামের বেদারুল ইসলাম জানান, আমার তিনবিঘায় লিচু বাগান আছে। এখানে ৮০-৮৫ টা গাছ রয়েছে। পূর্বের বছরগুলোতে ৫০-৬০ হাজার টাকা আয় আসে বাগান থেকে। তবে এবার ফলন নেই বললেই চলে। উপজেলায় প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই লিচুর গাছ রয়েছে, তবে তীব্র তাপদাহের ফলে কোনো গাছে লিচু ধরেছে আবার কোনটিতে ধরেনি।
কাঁশপুর গ্রামের নিবারনের ১ টি বাগান , বরগাছা গ্রামের সফিকুলের ১ টি, বীরনগর গ্রামের আব্দুল হাকিম ও আঁটুল গ্রামের মিজানুর রহমান সকলেই বলেন এবার অনাবৃষ্টির কারনে ফলন ব্যাপক পরিমানে কম হয়েছে। ফলে লিচুর ফলনে এবার লাভ হবে না। ও সকল বাগান মালিকরা হতাশায় ভুগছেন।
কুটাহারা গ্রামের আমানুল্লাহ খান বলেন, “আমার ১ বিঘা জমিতে লিচুর বাগান আছে, প্রতিবছর আমি নিজেই গাছ থেকে লিচু ভাঙ্গি এবং হাতে বিক্রয় করি, তাতে অনেক টাকা আমার রোজগার হয়। এবং বাড়ি ও আত্মীয়স্বজনের চাহিদাও মিটাই। বাগান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিবছর আমি আশানরূপ ভাবে ফলন পেয়েছি। কিন্তু এবার তীব্র তাপদাহ ও খরার ফলে লিচুর মুকুল এবং গুটি ঝরে পড়ে গেছে। যেসব বাগানে লিচুর ফুল দেরিতে বের হয়েছে সেগুলো কিছুটা বৃষ্টি পাওয়ায় সামান্য ফল হয়েছে। পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলাতেও একই অবস্থা, লিচুর ফলন নেই বললেই চলে। যেসকল বাগানে লিচু রয়েছে, বাজারে লিচুর মূল্য বেশি হওয়ায় কাঁচা লিচুই বিক্রি হচ্ছে। সবচেয়ে ভাল জাতের লিচু ৫০০ টাকা ও নিম্ন মানের লিচু ৩০০ টাকা প্রতি একশত পিচ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে পাঁচবিবিরবাজারগুলোতে। তবে পুরোদমে বাজারে এখনো লিচু আসেনি।
বাগজানা গ্রামের শিক্ষক আলহাজ্ব আওফের হোসেন বলেন, আমার বাগানে গতবছর লিচুর ভাল ফলন হয়েছিল, এবার অনাবৃষ্টিতে ফলন কম হয়েছে। যতসামান্য কিছু টাকা আসতে পারে তবে খরচ উঠবে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Devoloped By WOOHOSTBD