• মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ০৫:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ভেড়ামারায় নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে পরিদর্শন করলেন এমপি কামারুল আরেফিন দৌলতপুরে জমির ভাগ না দিয়ে অন্যের কাছে লিজ দেওয়ার অভিযোগ  দুই বাংলায় যোগ এবং অ্যাকিউপ্রেসার এর জগতে অপর্ণা মিত্র ও ডাঃ মনা’র অবদান অনস্বীকার্য দ্বিতীয় UYSF ইন্ডিয়া ন্যাশনাল ইয়োগা স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ মঞ্চে জ্বলে উঠলো স্বস্তিক অষ্টাঙ্গ একাডেমি নক্ষত্ররা কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এর ৭৭তম জন্মদিন উদযাপন করলো ” জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদ” যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার ৪১ বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন পাবনায় জামায়াতের সেলাই মেশিন বিতরণ নড়াইলে মোটরসাইকেল-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে স্কুলছাত্র নিহত ঈদুল আযহা উপলক্ষে রায়পুরাতে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ…. শিক্ষা কর্মকাণ্ডে প্রশংসিত,রাজশাহী অঞ্চলের উপপরিচালক মাউসির (ডিডি)ডাঃশরমিন ফেরদৌস চৌধুরী।

পদ্মাসন এবং কপালভাতির উপকারিতা

Muntu Rahman / ৩২৭ Time View
Update : সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩

পদ্মাসন এবং কপালভাতির উপকারিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক  – ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা বলেন, প্রথমে নিজেকে পরিবর্তন করুন এবং অন্যকে পরিবর্তনে সহযোগীতা করুন দেখবেন একদিন পৃথিবী বদলে যাবে। পরিবর্তনের সকল শক্তি মানুষের মধ্যে আছে প্রথমে এটা বিশ্বাস করা উচিৎ। যোগব্যায়াম নিজেকে পরিবর্তনের অন্যতম মাধ্যম।

আজ আমরা পদ্মাসন এবং কপাল ভাতি নিয়ে আলোচনা করবো- পদ্মাসনে বসে আছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর টিএইচও ডাঃ নুরুল আমিন ও ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা।

ক) পদ্মাসন
প্রণালী – দু’পা সামনে সোজা মেলে দিয়ে বসুন । ডান পা হাঁটু ভেঙ্গে বা ঊরুর উপর আনুন । অনুরুপভাবে বাঁ পা ডান ঊরুর উপরে এনে দু’হাত ছবির মত সোজাভাবে হাটুর কাছে রাখুন । এই অবস্থায় দু’হাটু মাটিতে ঠেকে থাকবে ।মেরুদণ্ড সোজা রেখে বেশ সহজভাবে সমনের দিকে তাকান । চোখ বন্ধ রেখেও করা যেতে পারে । শ্বাস স্বাভাবিক থাকবে ।১ মিনিট থেকে পা বদলে (আগে বাঁ পা, ওপর ডান পা টেনে) করুন । এভাবে মোট ৪ বার করুন ।

উপকারিতা — পদ্মাসন নিয়মিত অভ্যাসে মানসিক একাগ্রতা, ধৈর্য স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, স্নায়ুবিক উত্তেজনা (Nervous tension) প্রশমিত হয় ও দৈহিক ক্লান্তি দূর হয় । হৃৎপণ্ড ও ফুসফুস কিছুটা বিশ্রাম পায় । নিয়মিত পদ্মাসন অভ্যাসে দীর্ঘজীবন লাভের সহায়ক । মেরুদণ্ড সরল হয়, কুঁজোভাব দুর হয় । হাঁটু, পায়ের ও পাদসন্ধির (Ankle joint) স্নায়ু-পেশী সবল করে, বাত ভাল হয় । যেসব কাজে অধিক মনঃসংযোগ প্রয়োজন, আসন শুরু করার আগে কিছুক্ষণ পদ্মাসন অভ্যাস করলে ভাল ফল পাওয়া যায় ।

খ) কপালভাতি-
কপালভাতি আসনটির অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন- নিয়মিত করলে ১০০ প্রকার রোগ হবেনা। ক্রিয়েটিনিন, ডায়াবেটিস, হেপাটাইটিস, গ্যাস,পলিসিষ্ঠিক, ফাইব্রয়েড, ফ্যালেপাইন টিউব বন্ধ, যৌন সমস্যা সহ অসংখ্য রোগের আশু রোগমুক্তি হয়ে থাকে। এছাড়াও

১. মানসিক বিকাশ ঘটে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত কপালভাতি অনুশীলন করলে মানসিক এবং শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটে এবং আধ্যাত্মিকতার বিকাশ ঘটে। আসলে এই ব্যায়ামটি করলে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভেবই কগনিটিভ ফাংশনের উন্নতি ঘটে।

২. লিভারের কর্মক্ষমতা বাড়ে:

এই ব্যায়ামটি করার সময় শ্বাস নেওয়া এবং ত্যাগ করা হয়। এই পদ্ধতিটি অনুসরণ করার কারণে শ্বাস ছাড়ার সময় পেট ফুলে যায় এবং প্রশ্বাস প্রক্রিয়ায় পেট চেপে থাকে বা ভিতরের দিকে ঢুকে যায়। এমনটা হওয়ার কারণে পেটের চারিদিকের মাংসপেশির ওপর প্রভাব পড়ে, সেই সঙ্গে লিভার এবং অগ্ন্যাশয়েরও কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। এছাড়াও শরীরের এই অংশে রক্তপ্রবাহের উন্নতি ঘটে।

৩. হজম শক্তির উন্নতি ঘটে:

বেশ কিছু কেস স্টাডি করার পর আধুনিক চিকিৎসার পক্ষে সাওয়াল করা বিশেষজ্ঞরাও মেনে নিয়েছেন কপালভাতির আসনটি বাস্তবিকই দারুন উপকারি। দেখা গেছে এই আসনটি প্রতিদিন করলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে গ্যাসের সমস্যাও নির্মূল করে। একানেই শেষ নয়, কম সময় পেটের মেদ কমাতে চান, তাহলে এই আসনটির কোনও বিকল্প হতে পারে না!

৪. ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে:

খেয়াল করে দেখবেন কপালভাতি আসনটি করার সময় অনবরত শ্বাস নিতে এবং ছাড়তে হয়। এমনটা করার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়ার প্রক্রিয়ারও উন্নতি ঘটে।

৫. ব্লকেজ দূর করে: হার্ট বা ফুসফুসে ব্লকেজ ধরা পেরেছে নাকি? তাহেল কাল সকাল থেকেই এই আসনটি করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ লক্ষ করে দেখা গেছে নিয়মিত কপালভাতি আসনটি করলে ব্লকেজ কমতে শুরু করে। ফলে হার্টের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।

৬.এনার্জির ঘাটতি দূর করে:

অল্পতেই যারা ক্লান্ত হেয় পরেন, তাদের তো নিয়মিত কপালভাতি করা উচিত। কারণ শরীরে এনার্জির ঘাটতি দূর করতে এই আসনটি দারুন সাহায্য করে। ফলে একদিকে যেমন দীর্ঘক্ষণ পরিশ্রম করার ক্ষমতা বাড়ে, তেমনি ত্বকের ঔজ্জ্বল্যও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।

৭.স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটায়:

যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে, এই আসনটি করার সময় মস্তিষ্কের অন্দরে রক্ত সরবরাহ এতটাই বেড়ে যায় য়ে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে বুদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তিরও উন্নতি ঘটে। কিভাবে কপালভাতি আসনটি করবেন? কপালভাতি করতে হলে প্রথমে পদ্মাসনে বসতে হয়। এই সময় শিরদাঁড়া সোজা থাকবে। যাদের পিঠে কোনও সমস্যা আছে, তাঁরা দেওয়ালে হেলান দিয়েও বসতে পারেন। প্রথমে কম সময়ের ব্যবধানে নিঃশ্বাস ছাড়তে পারেন। তারপর ধীরে ধীরে সময় বাড়ানোর চেষ্টা করবেন। প্রসঙ্গত, যাদের কোমরে সমস্যা রয়েছে বা উচ্চ রক্তচাপ অথবা মাথা ধরার মতো সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা যোগ শিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া এই আসনটি করবেন না। আরেকটি বিষয় এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে। তা হল, কপালভাতি সবসময় ভোরবেলা অনুশীলন করা উচিত।

সাবধানতা- ভুলেও খাবার খাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে এই আসনটি করা উচিত নয়।

পদ্মাসন এবং কপালভাতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ০১৭১২-২৭৬৭৫৩


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Devoloped By WOOHOSTBD