কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলা জে পিয়ারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা উম্মুল মোমেনীনা হাফসার অর্থসম্পদ লুটে নিয়ে ডিভোর্স দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ডাঃমির জহুরুল কবির টিপু বিরুদ্ধে। সুবিচার চাই ভুক্তভোগী শিক্ষিকা।
নিজ বাড়িতে অবস্থা করা অবস্থাতেই ডিভোর্স লেটার পাঠায় তার স্বামী বলে তিনি দাবি করেন শিক্ষিকা ।
এ বিষয়ে শিক্ষিকা উম্মুল মোমেনীনা হাফসা বলেন, আমার স্বামী নিজেকে পির দরবেশ বলে দাবী করে প্রায় বাহিরে থাকেতো। আমার ধারনা আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হওয়ার পর থেকে অন্য নারীকে আসক্ত, সে কারনে বলতো আমি ভক্তদের বাড়িতে আছি। এমনি ভাবে সে বাহিরে থেকে, আমাকে তার নিজ বাড়িতে রেখেই গত ২৭ আগস্ট ডিভোর্স লেটার পাঠায়। পরে আমি বাধ্য হয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাড়ি থেকে বিবাহযোগ্য তিন টা মেয়ে সহ বের হয়ে চলে এসেছি। সে আমার কাছে থেকে ২৫ লক্ষাধীক টাকা নিয়ে বাড়ি করেছে। এনং সে বেকার থাকায় আমার বেতনের টাকায় বিভিন্ন সময় সকল সুবিধা গ্রহন করেছে। এ বিষয়ে আমি আদালতে একটি মামলা করেছি সুবিচার চাই আমি।
এ বিষয়ে মির জহুরুল কবির টিপুর মেয়ে বলেন, আমার বাবার আচার ব্যবহার ভালো মা হওয়ার আমরা এক প্রকার বাধ্য হয়ে মায়ের সাথে বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছি। আমরা চলে আসার সময় আমার মায়ের টাকায় কেনা আসবাবপত্র গুলো নিয়ে এসেছি। তবে আমার মায়ের সাথে চরম অবিচার করেছে আমার বাবা। আমি এই ঘটনার বিচার দাবী করছি।
এ মির জহুরুল কবির টিপু বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি দাবি করেন আমার তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমার অনেক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে । আমি ও সুষ্ঠ সমাধান চাই।
এদিকে এলাকাবাসী বলেন, শিক্ষিকা উম্মুল মোমেনীনা হাফসা একজন ভালো মানুষ। আমাদের জানামতে তার উপার্জনে তাদের তিন মেয়েকে নিয়ে সংসার চলতো। আমরা চাই এই ঘটনার সমাধান হোক। তিনটা মেয়ে নিয়ে শেষ বয়সে তিনি কোথায় যাবেন। আমরা চাই বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান হোক।
Devoloped By WOOHOSTBD