মোঃ সাজেদুল ফরাজি- কুষ্টিয়া জেলা দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের শেরপুর কোদালিয়া গ্রামের রাস্তার পাশের বড় বড় ১০ টা গাছ রাতের অন্ধকারে কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। সরেজমিনে তথ্য উদঘাটন করতে গিয়ে প্রতিবেদক জানতে পারে উক্ত রাস্তার পাশের গাছ গুলো পর্যায় ক্রমে গাছ গুলো রাতের অন্ধকারে কে বা কাহারা গাছ কর্তন করে নিয়ে যায় এলাকা বাসী জানতে ও পারেন না। এ ব্যাপারে প্রতিবেদক মুঠো ফোনে উপজেলা ফরেষ্ট অফিসার মোঃ গোলাম কবিরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ অভিযোগের ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে পরিষ্কার করেন নাই। উল্টো তাদের কিছু করার নেই বলে জানান এবং তাদের এরিয়া অনুযায়ী জনবল কম। এলাকার বিভিন্ন গন্যমান্ন ব্যাক্তিবর্গের অভিযোগ গাছ গুলো ফরেষ্ট অফিসারের যোগসাজশে গাছ গুলো কেটে নিয়েছে। কারন হিসেবে বলেন তাদের কাছে অভিযোগ করার পরেও কোন প্রকার ব্যাবস্থা গ্রহন করেন নাই। এ ব্যাপারে প্রতিবেদক পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন স্থানে অনুসন্ধান করে কোদালিয়া গ্রামের মৃত আশরাফ মন্ডলের ছেলে মোঃ গ্যাদা মন্ডলের বাড়িতে চুরিকৃত গাছের কিছু অংশ দেখতে পায়। শেরপুর বাজারে অবস্থিত শরিয়তের স,মিলে গাছের কিছু অংশ বিশেষ পাওয়া যায়। এবং গোপন সূত্রে জানা যায় শরিয়ত মিল মালিক একটি বিলাতি নিমের গাছ তক্তা বানিয়ে একই গ্রামের মোঃ ওয়াহিদের ছেলে মোঃ আলির কাছে বিক্রি করেন। এব্যাপারে মিল মালিক শরিয়ত কে জিজ্ঞেস করলে তিনি অস্বীকার করেন। প্রতিবেদক অনুসন্ধানে আলির বাড়িতে গেলে সেখানে অনেক গুলো মেলে ফাড়ায় করা নতুন কিছু কাঠ দেখতে পাই। আলি কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন আমি শরিয়তের স’ মিল থেকে গাছের গুঁড়ি কিনে ফেড়ে এনেছি। সরকারী সম্পদ রক্ষাই সবাই যেন উদাসীন। দৌলতপুর উপজেলা বন বিভাগের অফিসার মোঃ গোলাম কবির বলেন রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে নিয়েছে অভিযোগ পেয়েছি। প্রতিবেদক তাকে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন কিনা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন জনবল কম থাকা এখনো কোনো জব্দ তালিকা তৈরি করতে পারি নাই । এমন উদাসীন উত্তরে হতাশ এলাকার জনগণ তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেছেন।
Devoloped By WOOHOSTBD