মোঃ সাজেদুল ফরাজি -কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের পিয়ারপুর গ্রামে গত ২২-২১-২০২৩ তাং রোজ বুধবার বিকেল আনুমানিক ৫ ঘটিকার সময় সংবাদ সংগ্রহ করে ফিরে আসার সময় পেছন থেকে আতা গং কর্তৃক দৈনিক লালন কন্ঠ প্রত্রিকার সহকারী সম্পাদক সাংবাদিক মোঃ মহন আলী সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন। এবং সাংবাদিকের সংগ্রহ করা তথ্য প্রমান লোপাটের উদ্দেশ্যে কাছে থাকা দুটো মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এই মর্মে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পত্র টি হুবহু নিম্নে বর্ণিত হলো।
যথাযথ সম্মান প্রদর্শন পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি মোঃ মহন আলী (৩৬) এনজাইডি
নং-১৪৭২৭৮৯৮০৭, জন্ম তাং-০৯/১০/১৯৮৭ ইং, পিতা- মোঃ তকছেদ আলী, সাং-হিড়িমদিয়া
ডাকঘর-চন্ডিপুর, থানা-ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়া, থানায় হাজির হয়ে আসামী ১। মোঃ আশরাফুল মোল্লা,( ৪০) পিতা- মোঃ
সিরাজ মোল্লা, ২। মোঃ আতা মালিথা (৩৮) পিতা- বিষু মালিথা, ৩। মোঃ রনজেত মাল (৪৫)
পিতা- মৃত কিয়ামত মাল, ৮। মোঃ রাজিব (২৬) পিতা- শরুল মোল্লা, ৫। মোঃ শামীম মালিথা(২৮) পিতা- মিনহাজ মালিথা, ৬। মোঃ সেরু মালিথা (৩০) পিতা- মৃত আনাজ মালিথা
পোড়াসালুয়া, ৮ন পিয়ারপুর ইউপি, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া সহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আসামীদের বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, আমি “দৈনিক লালন কন্ঠ পত্রিকা” এর সহকারী সম্পাদক। ইতিপূর্বে আসামীদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করাকে কেন্দ্র করিয়া তাহাদের সহিত পূর্ব শত্রুতার সৃষ্টি হয়। এই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামীরা বিভিন্ন সময় আমাকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়া এবং আমাকে খুন জখম করার সুযোগ খুজতে থাকে। ঘটনার দিন ইং ২২/১১/২০২৩ তাং বিকাল অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময় আমি সংবাদ সংগ্রহ কাজ শেষে পোড়াসলুয়া গ্রাম হইতে মোটরসাইকেল যোগে একাকী বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হইয়া দৌলতপুর থানাধীন পিয়ারপুর শেখপাড়া গ্রামস্থ ফীড ফ্যাক্টরির সামনে পাকা রাস্তার উপর পৌছিলে উপরোল্লেখিত আসামীগন সহ তাহাদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আসামী পরস্পর যোগসাজাস করিয়া পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতে বিভিন্ন ধরনের দেশীয় তৈরী ধারালো রামদা, লোহার রড লাঠি,বাটাম, নিয়া আমার মোটরসাইকেল গতিরোধ করিয়া ১ নং আসামী মোঃআশরাফুল মোল্লা এর হুকুমে, ২ নং আসামী মোঃ আতা মালিথা তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথার পিছনে স্ব-জোরে আঘাত করিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।আমি মাটিতে পড়ে গেলে সকল আসামীরা একযোগে লোহার রড লাঠি বাটাম দিয়া আমার শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করিয়া ফোলা কালশিরা জখম করে। ৩ নং আসামী মোঃ রনজেত মাল আমার
প্যান্টের পকেটে থাকা মানিব্যাগে রক্ষিত নগদ ৭,৫০০/- টাকা নিয়ে নেয়। ৫ নং আসামী মোঃ শামিম আমার প্যান্টের পকেটে থাকা আমার ইনফিপি স্ক্রিন টাচ মোবাইল যাহার মূল্য ১৮,০০০/- টাকা ও একটি রেডমি স্ক্রিন টাচ মোবাইল যাহার মূল্য ২৮,০০০/- টাকা নিয়ে নেয়। আমার ডাকে চিৎকারে সাক্ষী ১
মোঃ হাব্বুল (৩০) পিতা- মৃত রায়েত আলী, সাং-পিয়ারপুর, ২। মোঃ সাজিদুল (৩৮) পিতা-মৃত সুরাত গনি সাং কামালপুর
৩। মোঃ সুজন আলী (২৬) পিতা- মৃত হাসেম আলী ফকির,সাং জগন্নাথপুর, সর্ব থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া সহ আরো অনেক লোকজন আগাইয়া আসিলে সকল
আসামীরা খুন জখমের হুমকি দিয়া চলে যায়। ঘটনার পর সাক্ষীগন আমাকে ঘটনাস্থল হইতে
জখম অবস্থায় উদ্ধার করিয়া সাথে সাথে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে চিকিৎসা করায়। আমি চিকিৎসা কাজে ব্যস্ত থাকায় এবং ঘটনার বিষয়ে আমার আত্মীয় স্বজনদের জানাইয়া তাহাদের সহিত আলাপ আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইল
অতএব, জনাব এই ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করিতে মুর্জি হয়।
Devoloped By WOOHOSTBD