• মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
ভেড়ামারায় নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে পরিদর্শন করলেন এমপি কামারুল আরেফিন দৌলতপুরে জমির ভাগ না দিয়ে অন্যের কাছে লিজ দেওয়ার অভিযোগ  দুই বাংলায় যোগ এবং অ্যাকিউপ্রেসার এর জগতে অপর্ণা মিত্র ও ডাঃ মনা’র অবদান অনস্বীকার্য দ্বিতীয় UYSF ইন্ডিয়া ন্যাশনাল ইয়োগা স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ মঞ্চে জ্বলে উঠলো স্বস্তিক অষ্টাঙ্গ একাডেমি নক্ষত্ররা কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এর ৭৭তম জন্মদিন উদযাপন করলো ” জাতীয় নারী সাহিত্য পরিষদ” যুব জমিয়ত বাংলাদেশ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার ৪১ বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন পাবনায় জামায়াতের সেলাই মেশিন বিতরণ নড়াইলে মোটরসাইকেল-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে স্কুলছাত্র নিহত ঈদুল আযহা উপলক্ষে রায়পুরাতে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ…. শিক্ষা কর্মকাণ্ডে প্রশংসিত,রাজশাহী অঞ্চলের উপপরিচালক মাউসির (ডিডি)ডাঃশরমিন ফেরদৌস চৌধুরী।

জয়পুরহাটে নিশ্চিন্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাটছে না অপরাধের বেড়াজাল

Muntu Rahman / ৮০ Time View
Update : মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ, ২০২৪

আমির হোসেন

স্টাফ রিপোটার:

সম্প্রীতি জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার নিশ্চিন্তা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিছু অনিয়মের তথ্য উঠে এসেছিল। যার সমাধান হতে না হতে আরেকটি সমস্যার সম্মুখীন বর্তমান স্কুলটিতে। স্কুলটিতে পাঁচ তলা ভবন নির্মাণের জন্যই ইতিমধ্যে খনন করা হচ্ছে সেখানের মাটি। মাটি খননের সময় উক্ত জায়গা দিয়ে প্রবাহমান সাপ্লাই পানির একটি সাপ লাইন বিচ্যুত হয়ে যায়। এতে পানির অভাবে ভোগান্তিতে পড়ে গ্রামের প্রায় ৩০০ পরিবার, এ নিয়ে উক্ত জনপদের বেশ কিছু ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা যায়, ক্ষেতলাল উপজেলার মামুন নামের এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে তারা বলেন, আমরা অন্যের বাড়ি থেকে, বিভিন্ন জায়গা থেকে ভাড়ে করে পানি নিয়ে এসে ব্যবহার করতেছি, ঠিকাদার মামুনকে কয়েকবার বলা হয়েছে আমাদের পানির লাইনটি সংস্কার করার জন্য। কিন্তু তিনি তার গায়ের জোর দেখিয়ে আমাদেরকে বলে আমরা এখন এটি সংস্কার করতে পারব না। এ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও কন্ট্রাক্টর মামুনের সঙ্গে গ্রামবাসীর কথা কাটাকাটি হয়। এদিকে কন্ট্রাক্টর মামুনের বিরুদ্ধে খননকৃত মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে, যদিও তিনি দাবি করেছেন মাটি বিক্রি করেন নি, তার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, পর্যাপ্ত মাটি রাখার ব্যবস্থা না থাকার কারণে কিছু মাটি কয়েকজনের কাছে মাত্র দেওয়া হয়েছে। এ কথার সত্যতা প্রমাণের জন্য সাংবাদিকদের একটি টিম গ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ে গিয়ে অনুসন্ধান চালাতে থাকে, এসময় উক্ত গ্রামের পলিন, রাজ্জাক, আলাউদ্দিন ও সানোয়ার এর কাছে সহ বিভিন্ন জনের কাছে মাটি বিক্রি করেন, এ নিয়ে উক্ত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাসেম মন্ডল এর কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, উক্ত স্থানের মাটি বিক্রির টাকাটা কে নিচ্ছে বা কার কাছে যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে হাসেম মন্ডল বলেন এ বিষয়গুলি নিয়ে আমি কিছুই জানি না আমাকে যতক্ষণ পর্যন্ত কোন বিষয় না জানানো হয় ততক্ষণ পর্যন্ত আমি কোন বিষয়ে জানতে পারি না বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এছাড়া নিশ্চিন্তা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ তলা ফাউন্ডেশন এর ভিত্তি প্রস্তর করার জায়গাটি নিয়ে চলছে ঝামেলা, অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে উক্ত গ্রামের গোফফার আকন্দ, পিতা ওসমান আলী আকন্দ, একি গ্রামের চাঁনমিয়া আকন্দের জমি ক্রয় করেন। যার মধ্যে কৃষ্ণনগর মৌজার খতিয়ান নম্বর ৫৯ দাগ নম্বর ৪৩ ৪৭ ধানি যার মধ্যে বর্তমান বাড়ি পরিমাণ ২.৯০ এর কাত ৩৯ শতাংশ। যার মধ্যেও চাঁনমিয়া আকন্দ ২১ শতাংশ জমি উক্ত প্রতিষ্ঠানের নামে দান করেন বলে জানা গেছে। তবে আব্দুল গফফারের দাবি তার ক্রয়কৃত জমির প্রায় ছয় শতাংশ জমি বেশি গেছে স্কুলের মধ্যে, যার সঠিক সমাধান এখনো পাওয়া যায়নি। উক্ত জমির মালিকানা ফিরিয়ে পেতে আব্দুল গফফার ইতি মধ্যেই একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঠিকাদার মামুনের বিরুদ্ধে মাটি বিক্রি করার বিষয় নিয়ে উপজেলা প্রাথমিকের শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হকে শাহ সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না, আমরা তাদেরকে কন্ট্রাক্ট দিয়েছি আমাদের কাজ তারা কিভাবে করবে তারাই ভালো জানে। বিষয়টি ভূমি সংক্রান্ত হবার কারণে,তৎক্ষণাত মুঠো ফোনে কথা বলা হয়, উপজেলা ভূমি এসিল্যান্ড জিন্নাত আরা তিথির সঙ্গে, এ সময় তিনি বলেন মাটি কেটে বিক্রি কেন করবে, এটা করার কোন আইন নেই, যেহেতু কাজটি এলজিইডি প্রকল্পের যার কারনে আমি তাদের সাথে কথা বলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব বলে তিনি জানিয়েছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Devoloped By WOOHOSTBD