দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর এখন সংরক্ষিত মহিলা আসন নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোচনা ও গুঞ্জণ চলছে। বিশ্বস্ত সূত্রমতে, বর্তমান জাতীয় সংসদে যে সমস্ত আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় নির্বাচিত সংসদ সদস্য নেই সেই সকল এলাকার নারী নেতৃত্বকে মনোনয়নের ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেয়া হবে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার জেলার মধ্যে অত্র এলাকায় নৌকার মনোনীত দলীয় সংসদ সদস্য হতে না পারায় সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে কক্সবাজারের চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার নেত্রীদের মধ্য থেকে মহিলা সাংসদ মনোনীত হবার সম্ভাবনাই বেশি বলে জোর আলোচিত হচ্ছে। এই বিবেচনায় মনোনয়ন প্রার্থীদের মধ্যে যারা এগিয়ে আছেন তাদের মধ্যে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম উপকমিটির সদস্য এডভোকেট আনিচ উল মাওয়া (আরজু)র নাম শুনা যাচ্ছে, যার পৈতৃক নিবাস পেকুয়া উপজেলার মগনামায় ও নানার বাড়ি চকরিয়া উপজেলার কোনাখালীতে এবং শশুর বাড়িও কক্সবাজার সদরে। এছাড়াও আলোচনায় আছেন পেকুয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম যার পিত্রালয় ও শ্বশুরবাড়ি পেকুয়া উপজেলায় এবং মিসেস ফিরোজা আমজাদ যার শ্বশুরালয় পেকুয়ায় এবং পৈতৃক নিবাস ঢাকায় অবস্থিত।
কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলা হতে উল্লেখ যোগ্য মহিলা নেতৃত্বে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও জাতীয় সংসদের আইন প্রণেতা হিসেবে যার নাম সবচেয়ে বেশী উচ্চারিত হচ্ছে তিনি হলেন
এসিস্ট্যান্ট এটর্নি জেনারেল ফর বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের আইনজীবী, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এডভোকেট আনিচ উল মাওয়া (আরজু)।
তিনি কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি প্রখ্যাত সিনিয়র এডভোকেট আবুল বশর সাহেবের কন্যা এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তাকীমের (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের একজন সক্রিয় সদস্য) সুযোগ্যা স্ত্রী। তারা আপন চারবোন আইন পেশায় নিয়োজিত এবং আপন চার বোনের স্বামীও আইন পেশায় রত। এড. আরজু কক্সবাজার সমিতি- ঢাকার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বৃহত্তর চট্টগ্রাম আইনজীবী কল্যাণ সমিতি-ঢাকার সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
কক্সবাজার সরকারী মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ জনাব ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরীর (জাতীয় সংসদের মাননীয় হুইপ জনাব সাইমুম সরওয়ার কমলের পিতা) ১৯৯৩ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে তাঁর হাতে খড়ি। সেই ধারাবাহিকতায় তিনি কর্মজীবনেও সান্নিধ্য পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য এডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন , মাননীয় মন্ত্রী এডভোকেট শ.ম রেজাউল করিম , বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ড. জে কে পাল যাদের সাহচর্যে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে কখনও বিচ্যুত হননি এবং পেশাদারিত্বের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক দলীয় রাজনীতিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
সর্বোপরি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার সাথে প্রতিনিয়ত কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। এড.আরজু এলাকার শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন সবসময়।
করোনাকালে তিনি জেলার উদ্যোগী মানুষদের সাথে করোনা তহবিল গঠন করেন, কক্সবাজার সমিতি-ঢাকা’র মাধ্যমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে হাই ফ্লু অক্সিজেন সরবরাহে এবং ব্যক্তিগতভাবে অসহায় মানুষের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত উদ্যোগের পাশাপাশি তিনি
চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা’র মাধ্যমে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের নগদ সাহায্য, দুঃস্হ ও অসহায় কক্সবাজারবাসীকে সেলাই মেশিন ও ভ্যানগাড়ী বিতরণ করেন। তিনি কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আজীবন সদস্য। তিনি সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে অসহায়দের আইনি সহায়তা দিয়েছেন। তিনি কক্সবাজারের চৌফলদণ্ডী সবুজবাগ ট্রাস্টি বোর্ডের ও মডেল স্কুলের একজন গর্বিত পরিচালক। তাঁর নানাবাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ায় ও দাদাবাড়ি পেকুয়ায় অবস্হিত এবং অনেক বড় এবং বনেদি পরিবারে জন্ম বিধায় আত্মীয় স্বজন পুরো কক্সবাজার জেলা জুড়ে বিস্তৃত।
Devoloped By WOOHOSTBD