সিরাজগঞ্জের বেলকুচি পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড সু্র্বণসাড়া গ্রামে অবস্থিত বেলকুচিতে দেলুয়া ইসলামিয়া আলিয়া মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী আমিনা খাতুন বিদ্যুৎপৃষ্ঠে নিহত হয়েছে ১০ নভেম্বর সোমবার সকালে দেলুয়া ইসলামিয়া আলিয়া মাদ্রাসার দোতালা মসজিদের ছাদের কাছাকাছি বিদ্যুতিক ১১ হাজার ভোল্ট তারের সঙ্গে পৃষ্টে হয়ে দেলুয়া গ্রামের আমিরুলের মেয়ে আমিনা খাতুনের মৃত্যু হয়।আমিনার সঙ্গে থাকা বান্ধবী মুন্নী খাতুন আহত হয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
অর্থ মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীর রাবিয়া ও সুমাইয়া সহ একাধিক শিক্ষার্থী জানান এর আগেও মসজিদের সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেছে,কিন্তু মাদ্রাসা পক্ষে থেকে কোন ব্যবস্থা নেয় নাই, দোতলায় চিলি কোঠায় গেট দেওয়া থাকলে হয়তো আজ আমাদের সহপাঠীকে এভাবে হারাতে হতো না।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার কারনে বারবার অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে, মসজিদের ছাদে বিদ্যুতিক ১১ হাজার ভোল্টের তারের লাই একদম কাঁছাকাছি। মসজিদের ফজর নামাজ শেষ করে মসজিদের গেটে তালা দেওয়া থাকলে এমন ঘটনা শিকার হতে হতো না দুই শিক্ষার্থীর। মাদ্রাসা ও মজিদ কমিটির কাছে আহ্বান করি ছাদের উপরে আর কোনো শিক্ষার্থীর জীবন না যায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
দেলুয়া ইসলামিয়া আলিয়া মাদ্রাসার মসজিদের ইমাম জিল্লুর রহমান বলেন দশটার দিকে মাদ্রাসায় ক্লাস শুরু হয়,বাচ্চারা প্রায় নয়টায় মাদ্রাসায় আসে ,মসজিদের গেট খোলা ছিলো এর আগে মসজিদের সিঁড়িতে গেট ছিল কিন্তু বাচ্চারা ভেঙ্গে ফেলে দেওয়ায় সেই গেট আর মেরামত করা হয় নাই।
মাদ্রাসা মসজিদের সভাপতি হাজী সবুর তিনি জানান মসজিদের ছাদে বিদ্যুতিক তারের সঙ্গে
একজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়,আর একজন আহত হয়েছে এই দুর্ঘটনা কিভাবে ঘটেছে আমি সঠিক কিছু জানিনা, এই বিষয় বলতে পারবে অত্র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, আপনেরা সাংবাদিক মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
দেলুয়া ইসলামিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ
নুরুল ইসলাম মোল্লা বলেন আমিনা খাতুন সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মসজিদের ছাদে
বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়। তাৎক্ষণিক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় অবস্থা অবনতি দেখে জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায় পরে চিকিৎসক শিক্ষার্থী আমিনা খাতুনকে মৃত্যু ঘোষণা করেন,
Devoloped By WOOHOSTBD