• রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
জণগণকে ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম মালামাল আত্মসাৎ করার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন হাটহাজারীতে মাইক্রো ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক নিহত আজ ৬ই ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ পাক-হানাদার মুক্ত দিবস,৪৮জন শহীদের গণকবরে জেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধাঞ্জলী প্রদান চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহানন্দা ব্যাটালিয়ন ৫৩ বিজিবির অভিযানে মোটরসাইকেল ও মোবাইলসহ আটক ২ চট্টগ্রামে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত পেকুয়ায় সালাহ উদ্দিন আহমদের সাথে সাবেক এমপি আলমগীর ফরিদের সাক্ষাৎ জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সিলেট বিভাগীয় কমিটি ঘোষণা: সভাপতি জয়নাল, সম্পাদক সাজন নামগঞ্জ-৪ আসনে এড. নুরুল ইসলাম নুরুল ও সুনামগঞ্জ-২ আসনে নাছির উদ্দিন চৌধুরীকে ধানের শীষের প্রার্থী ঘোষনা ঝিনাইদহে ৩ বছরের সাবার লাশ মিলল প্রতিবেশীর ঘরে: তদন্তে পুলিশ, আটক এক নারী

নওগাঁর  মান্দায় বিএনপির মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবিতে মানববন্ধন-সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন। 

Muntu Rahman / ১৮৯ Time View
Update : বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

নাজমুল হক, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি:

নওগাঁর মান্দায় বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে চলছে অস্বস্তি ও বিভাজন। কেন্দ্রীয় ঘোষণায় এক প্রার্থীর নাম এলেও মাঠে সরব তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, “যিনি দুঃসময়ে পাশে ছিলেন, তাকেই প্রার্থী চাই।”বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার ফেরিঘাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নওগাঁ–-রাজশাহী মহাসড়কে অনুষ্ঠিত হয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিশাল মানববন্ধন-সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি। এতে উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। বক্তারা সতর্ক করে বলেন, “দলের পরিশ্রমী, ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের বঞ্চিত করে অন্য কাউকে প্রার্থী করা হলে তা দলের জন্য আত্মঘাতী হবে।”

তাদের দাবি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মান্দা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মতীনকেই ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে।

স্থানীয় নেতারা বলেন, এম এ মতীন হচ্ছেন সেই নেতা, যিনি আন্দোলন-সংগ্রামের সময়ে কর্মীদের পাশে থেকে সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। “গ্রেফতার, নির্যাতন, মামলা এসব সত্ত্বেও তিনি মান্দার বিএনপিকে টিকিয়ে রেখেছেন,” বলেন উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুল ইসলাম।

গত ৩ নভেম্বর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. ইকরামুল বারী টিপুকে নওগাঁ-৪ আসনের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।

তবে ঘোষণার পরই উপজেলা জুড়ে দেখা দেয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া একপক্ষে মতীনের সমর্থক নেতাকর্মীদের পুনর্বিবেচনার দাবি, অন্যপক্ষে টিপুর মনোনয়নকে ঘিরে উচ্ছ্বাস।

এর আগে গত ২৩ অক্টোবর উপজেলা বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে ডা. টিপুর ‘দলীয় আদর্শ ও শৃঙ্খলাভঙ্গের’ অভিযোগ তুলে তার সঙ্গে সব রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেওয়া হয়।

সেই সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মতীনসহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নেতারা অভিযোগ করেন, ডা. টিপু একসময় সংস্কারপন্থী রাজনীতিতে জড়ান ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে সমর্থন দেন  যা দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী।

স্থানীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই মতবিরোধ অব্যাহত থাকলে মান্দায় বিএনপির সাংগঠনিক ঐক্যে ফাটল ধরতে পারে।

তাদের মতে, “যিনি মাঠে ছিলেন, মানুষের সঙ্গে ছিলেন, তাকেই প্রার্থী করলে বিএনপি মান্দায় শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবে।”

এর আগে ৪, ৯ ও ১০ নভেম্বর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একই দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ হয়। প্রতিবারই কর্মসূচিতে অংশ নেন ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, কৃষকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবি, “এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তির জন্য নয়, দলের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।”

উল্লেখ্য,গত সোমবার (১০ নভেম্বর) মান্দা উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন বিএনপি একযোগে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বরাবর লিখিত আবেদন পাঠিয়েছে।ওই আবেদনে দাবি করা হয়েছে নওগাঁ-৪ আসনে ঘোষিত প্রার্থী ডা. ইকরামুল বারী টিপু’র প্রার্থীতা স্থগিত করে “অধিকতর তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে নতুন প্রার্থী ঘোষণা” করা হোক।

ভালাইন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. রওশন আলম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবু বকর ছিদ্দিক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, “দল কর্তৃক ঘোষিত প্রার্থী ডা. টিপু বিগত ১৬ বছর আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে সখ্য রেখে স্বাভাবিক জীবন যাপন করেছেন। তিনি আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন না, বরং অতীতে বিএনপির বিরুদ্ধে লিখিত বক্তব্য দিয়েছেন। এরকম বিতর্কিত ব্যক্তিকে নিয়ে জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হওয়া অসম্ভব।”

চিঠিতে আরও বলা হয়, “যারা হামলা, মামলা, নির্যাতন সহ্য করেও মাঠে ছিলেন, তাদের বাদ দিয়ে আপাদমস্তক বিতর্কিত কাউকে প্রার্থী করলে তা দলের অস্তিত্বের জন্য হুমকি।”

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মান্দা বিএনপির এই মতবিরোধ যদি অব্যাহত থাকে, তবে আসন্ন নির্বাচনে সাংগঠনিক ঐক্যে বড় ধরনের ফাটল ধরতে পারে।

তাদের মতে, “যিনি মাঠে ছিলেন, মানুষের সঙ্গে ছিলেন, তাকেই প্রার্থী দিলে বিএনপি মান্দায় শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে পারবে।”

এর আগে ৪, ৯ ও ১০ নভেম্বর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একই দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবারই ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, কৃষকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছেন।

 “এই আন্দোলন কোনো ব্যক্তির জন্য নয় এটা দলের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Devoloped By WOOHOSTBD