কুষ্টিয়ার সাহসী সন্তান দেহরক্ষী মাহবুব নিজের জীবন দিয়ে প্রমান দিয়েছেন যে তিনি অকৃতজ্ঞ ছিলেন না। দেখতে দেখতে ১৯ টি বছরের প্রয়াস। সেই বুলেট টি হয়তো কেঁড়ে নিতে পারতো প্রিয় নেত্রীর জীবন। কিন্তু তিনি তা হতে দেননি। নিজের জীবন উৎসর্গ করে বাঁচিয়ে ছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাণ। ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে যখন গ্রেনেডের তান্ডব তখন শেখ হাসিনাকে নিরাপদে গাড়িতে তুলে দিয়ে ঘাতকের বুলেটবিদ্ধ হয়ে রাজপথে লুটিয়ে পড়েন তার বিশ্বস্ত দেহরক্ষী মাহবুব। নিভে যায় তার জীবন প্রদীপ। সেদিনের সেই বুলেটটি দৈনিক সূত্রপাত পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক কুষ্টিয়া জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুলের দুলাভাই দেহরক্ষী মাহবুবকে স্পর্শ না করলে কেড়ে নিতে পারত বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন।
কুষ্টিয়ার খোকসার এই মাহবুবকে নিয়ে কুষ্টিয়ার মানুষ আজ গর্বিত। ২০০৪ সালে ২১ শে আগস্টে ছোড়া বুলেটে জীবন দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন কুষ্টিয়ার সাহসী সন্তান দেহরক্ষী মাহবুব রশীদ। গ্রেনেড হামলায় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা তার বুলেট প্র“ফ গাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। দেহরক্ষী মাহবুব তাকে গাড়িতে প্রবেশ করতে অনুরোধ জানান। কিন্তু শেখ হাসিনা মাহবুবকে চিৎকার করে বলে, ”না আমি যাবো না, ওরা মারে আমাকে মারুক।” নেত্রীর সে কথায় কান না দিয়ে মাহবুব বুক দিয়ে আগলে গাড়ির মধ্যে তাকে ঠেলে দেন। আর ঠিক এ সময় ঘাতকের একটি বুলেট তার মাথার পেছন দিয়ে প্রবেশ করে মুখ দিয়ে বেরিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে আরো কয়েকটি গুলি তার বুককে বিদ্ধ করে। সেখানেই পড়ে থাকেন দেহরক্ষী জননেত্রীর শেখ হাসিনার একান্ত দেহরক্ষী মাহবুব রশিদ। কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সব চেষ্টা বিফল হয়। ২১ আগস্ট রাতেই কুষ্টিয়া জেলা অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুলের দুলাভাই মাহবুব রশীদ মারা যান।
সেদিনকার হামলা আরো ভয়ানক ছিলো। গুলির পাশাপাশি ছিলো আর্জেস গ্রেনেড। তুমুল বিস্ফোরণেও শেখ হাসিনার ভাইয়েরা ভুলে যায়নি তাদের প্রতিজ্ঞা। শরীরে অজস্র স্পিলন্টার আর বুলেটের গর্ত নিয়েও দাঁড়িয়ে ছিল এক মানব দেওয়াল। মৃত্যু দিয়ে নেত্রীর নিশ্চিত মৃত্যুকে ফিরিয়েছিলেন কুষ্টিয়ার সাহসী সন্তান মাহাবুব রশিদ
দিনটি খুবই ভয়াবহ ছিল। যা তাদের পরিবারের কাছে একটি শোকের দিন। কিন্তু বড়ই দুঃখের বিষয় কেউ খবর রাখেনা এই পরিবারের। অবিভাবকহীন এতিম এই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার জন্য ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাব পরিবারের পক্ষ থেকে আকুল আবেদন রইল।
Devoloped By WOOHOSTBD