হালচাল নিউজ ডেস্ক –
ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন জনস্বার্থে সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে বাঁচানোর জন্য আইনটি খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে যার প্রতিফলন আমরা পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে দেখতে পাই। আইন উন্নয়ন ও বান্তবায়নে সরকার কাজ করে চলেছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ২০৪০ সাল নাগাদ তামাকমুক্ত বাংলাদেশ ঘোষণা করেছেন। আইনের প্রচার ও বাস্তবায়নে পুলিশ বিভাগসহ সরকারি বেসরকারি অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। তারই অংশ হিসেবে সাফ‘র আয়োজনে কুষ্টিয়ার পোড়াদহে ধূমপান বিরোধী এক মতবিনিময় সভা ও স্টিকার বিতরণ অনুুষ্ঠিত হয়। সাফ‘র নির্বাহী পরিচালক ও জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য মীর আব্দুর রাজ্জাক এর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিরপুর থানাধীন কর্তৃত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে আহাম্মদপুর ক্যাম্পের আইসি এসআই (নিরস্ত্র) মো: জামাল মৃধা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনছার সদস্য পোড়াদহ ইউনিয়ন প্লাটন কমান্ডার মো: আসাদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি বলেন আইনে ১৮ বছরের নিচে কাহারো নিকট সিগারেট বিক্রয় করা যাবে না আবার তাকে বিক্রেতাও বানানো যাবে না। স্কুল কলেজের পাশে সিগারেটের দোকান থাকায় সহজে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্ররা ধূমপান করে থাকে। আবার দোকানদার বিক্রয় না করলে খারাপ ব্যবহার করে। এমতাবস্থায় আমি দোকানদারকে বললাম যেসব ছেলেরা এখানে সিগারেট ক্রয় করতে আসবে তাদেরকে আমার পক্ষ থেকে প্রস্তাব দেবে একটা সিগারেট কিনলে একাধিক সিগারেট ফ্রি পাবে বিনিময়ে তোমার একটি ছবি তুলতে হবে। এই ঘোষণার পর থেকে সেই দোকানে ছাত্ররা সিগারেট ক্রয় করতে আসে না। সাফ‘র নির্বাহী পরিচালক বলেন আমরা যদি সবাই দায়িত্বশীলের পরিচয় দিয়ে এইরকম কিছু কৌশল অবলম্বন করি তাহলে মাদকের প্রথম শোপান সিগারেট বা ধূমপান থেকে যুবসমাজকে অনেকাংশেই বিরত রাখতে পারবো। মতবিনিময় শেষে জন পার্কের ফাস্টফুডের দোকানগুলো ধূমপানমুক্ত ঘোষণা করেন এবং সাফ‘র পক্ষ থেকে নোস্মোকিং সাইনেজ, স্টিকার ও সাইনবোর্ড প্রদান করা হয়।
Devoloped By WOOHOSTBD