• বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
সংখ্যালঘু বলতে কিছু থাকবে না’-কামরুজ্জামান কামরুল   সীতাকুণ্ডে সড়ক দূর্ঘটনায় জামায়াতের ইউনিয়ন সেক্রেটারি নিহত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গুম হওয়া আরিফ কে ফিরে পেতে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান নড়াইলে পুলিশের গাড়ী, বক্স ভাংচুর অগ্নিসংযোগে মামলা, আসামি ৬০০ মোহাম্মদীয়া দরবার শরীফে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাঃ উদযাপিত দৌলতপুর কলেজ অধ্যক্ষ সুমনের  অপসারণ দাবীতে  বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ ভেড়ামারায় আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ২২৫তম শাখার শুভ উদ্বোধন সীতাকুন্ড  প্রেস ক্লাবের  নব নির্বাচিত কমিটি   কে জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা সাকসেসের অভিনন্দন  আমদানি রপ্তানি শুরু হয়েছে ছয়দিন পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ফেসবুকে প্রেম বাবার বাড়ী ছেড়ে প্রেমিকের কাছে এলেন মারিয়া, ফিরলেন লাশ হয়ে প্রেমিক পালাতক।

সংষ্কার এর নামে অরাজকতা সৃষ্টি কারীদের কে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী — ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা

Muntu Rahman / ১৪ Time View
Update : মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মন্তব্য প্রতিবেদন –

ভেড়ামারা অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ডাঃ কামরুল ইসলাম মনা বলেন, সংষ্কার এর নামে আমরা আজ কোন পথে? চারিদিকে যা ঘটছে তাতে মনে হচ্ছে না দেশে আইনের শাসন আছে। যার যা ইচ্ছে তাই করছে। প্রশাসনের হাত থেকে ও মানুষ কে ছিনিয়ে নেওয়ার মত ন্যাককার জনক ঘটনা ঘটনার পাওয়া গেছে যা দুঃখ জনক। অপরদিকে বাজার সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজ, দখলবাজদের বিরুদ্ধে সোচ্চার না হয়ে সরকার কে সহায়তা না করে বরং উল্টো সরকার কে বেকায়দায় ফেলতে জনসাধারণের নিরাপত্তা ইত্যাদির চিন্তা না করে কতিপয় কুচক্রী মহল অরাজকতা সৃষ্টি করতে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, গণপিটুনি, কোমলমতি শিশুদের কাজে লাগিয়ে শিক্ষকদের লাঞ্চিত করার পর জাতীয় সংগীত পরিবর্তন, মাজার ভাঙা ইত্যাদি ইসু নিয়ে ব্যস্ত না হয়ে প্রকৃত দেশ সংষ্কার এর চিন্তা করুন। দেশের মানুষের শান্তির কথা ভাবুন। দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে এনে সবার পেটের ভাতের চিন্তা করুন। ব্যবসায়ীদের স্বাধীন ভাবে ব্যবসা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। মানুষ কে শান্তি তে ঘুমানোর পদক্ষেপ নিন। অনেকটা ফরজ ওয়াজিব সুন্নতের মত প্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে চিন্তা নেই কিন্তু ব্যক্তিস্বার্থ কে প্রতিহিংসায় রুপান্তরিত করতে কে কাফের, কে জঙ্গি, কে পুজারী ইত্যাদি নিয়ে উস্কানিমূলক কথাবার্তায় ব্যস্ত,,। মোস্তাহাবের মত ( যেটা এই সংকটময় মুহূর্তে প্রয়োজন নয়) নিয়ে ব্যস্ত এটা কেমন কথা? সবার আগে দেশ সংষ্কার এর মৌলিক বিষয় গুলো নিয়ে ভাবুন। ফালতু ফেতনা সৃষ্টি না করার অনুরোধ জানাচ্ছি। দেশকে নতুন রুপে গড়তে সুচিন্তা করুন। সবার আগে জনস্বার্থে মানুষের মৌলিক অধিকার গুলো প্রতিষ্ঠা নিয়ে ভাবুন এবং সেই মত কাজ করুন এবং সরকার কে সার্বিকভাবে সহায়তা করুন। জরুরী মুহূর্তে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এমন কাজ থেকে বৃহৎ স্বার্থে বিরত থাকুন। দেশকে সঠিক ভাবে গড়তে সরকার কে সহায়তা করুন।
দৈনিক আজ বেলা পত্রিকায় বিশিষ্ট কলামিস্ট ব্যাংকার ইমরান হোসেন এর সংষ্কার মন্তব্য প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন – ইংরেজি Reform শব্দের আভিধানিক বাংলা অর্থ হল সংস্কার করা, সংশোধন করা, পুনরায় গঠন করা, সংশোধিত করা বা উন্নত করা।
Cambridge Dictionary তে বলা হয়েছে, Reform means to make an improvement specially by changing a person behaviour aur da structure of something. এখানে বিশেষ করে ব্যক্তিক আচরণের পরিবর্তনের উপরে জোর দেয়া হয়েছে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর ছিল ছাত্র জনতার স্বাধীনতার একমাস পূর্তি। সোশ্যাল মিডিয়াসহ পত্রপত্রিকার পাতায় বিষয়টি নিয়ে খুবই মাতামাতি হয়েছে যা নজর কাড়ার মত।
কিন্তু গত এক মাসে আমাদের সংস্কার বলতে কি হয়েছে? যা আমার নজরে এসেছে তার সামান্য ফিরিস্তি দিলাম –
এক কথায় বলতে গেলে একদল দীর্ঘদিন শাসন করেছে তাদের অনেক ভুল ভ্রান্তি ছিল এবং ভুলের মাত্রা এত বেশি ছিল যে তাদের শাস্তি তারা হাড়ে হাড়ে পাচ্ছে। মজার ব্যাপারটা হল অন্য দল ক্ষমতায় এখনো আসতে পারেনি আসবে কিনা এখনো সন্দেহ রয়েছে কিন্তু জুলুম অত্যাচারের মাত্রা পূর্বের তুলনায় কোন অংশে কম নয়। মানে কি দাঁড়ালো বিষ ঠিকই আছে শুধু বোতলটা পরিবর্তন হয়েছে।
ইমরান হোসেন আরো বলেন, আমার এই লেখা পড়ে অনেক দলকানারা বলবে এই চেতনা এতদিন কোথায় ছিল।
এর উত্তরে আমি বলব আপনাদের মতে তখন ছিলাম পরাধীন এখন স্বাধীন হয়েছি তাই লিখছি।
ছোট্ট একটি ঘটনা বলে শেষ করছি- একটি গ্রামের ঘটনা যদিও এখন এই ঘটনা চলছে ৬৮ হাজার গ্রাম বাংলায়। একজন মানুষ নৌকায় ভোট দিত। তার ৭৬ বছরের জীবদ্দশায় তিনি কাউকে একটা চড় থাপ্পর দেওয়া তো দূরের কথা কখনো কারো সাথে জোরে কথা বলেনি। সেই বয়স্ক হার্টের রিং পরানো মানুষটাকে শুধু নৌকায় ভোট দেওয়ার অপরাধে কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী তাকে বেদমভাবে প্রহার করে। বয়স্ক লোকের সাথে যে দুর্ব্যবহার হল এই দায় কার? এই দায় কি রাষ্ট্রের নাকি সমন্বয়কদের ? এই দায় আসলে কে নিবে?

মন্তব্য – উক্ত লেখা এবং ইমরান হোসেন এর সংষ্কার মন্তব্য প্রতিবেদন লেখা টা থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। আমরা আর কোন স্বৈরাচার শাসক চাই না। জনগণের কল্যাণার্থে জনগণের প্রকৃত সেবক এবং জনবান্ধব সরকার চাই। প্রতিহিংসা পরায়ন না হয়ে, ব্যক্তিস্বার্থ নিয়ে না ভেবে দেশের মানুষের জন্য ভাবুন। ছোট খাটো বিষয় নিয়ে না বিরোধ সৃষ্টি না করে দেশের ও দশের স্বার্থে সবার শান্তি রক্ষায় দেশের সংষ্কার নিয়ে ভাবুন! সংষ্কারে সরকার কে সার্বিক সহায়তা করুন এবং যারা সংষ্কার এর নামে অরাজকতা সৃষ্টি করে চলেছে তাদেরকে তদন্ত সাপেক্ষ অবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জোর দাবী জানাচ্ছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

Devoloped By WOOHOSTBD